আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল গোটা পৃথিবী জুড়ে। বাংলার গন্ডি ছাড়িয়ে দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়়েছিল এই আন্দোলন। তবে এবার আরজি করের ঘটনার পরে কুলতলির ঘটনার কথা গোটা দেশের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছেন বাংলার প্রতিবাদী চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি টিম গিয়েছিল কুলতলির নিহত বালিকার বাড়িতে। সেখানে গিয়ে তাঁরা পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
এক সিনিয়র চিকিৎসক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যেভাবে আরজি করের ঘটনা গোটা বিশ্বের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। সেভাবেই কুলতলির ঘটনাও আমরা সারা বিশ্বের কাছে , সারা দেশের কাছে পৌঁছে দেব। সর্বত্র এনিয়ে যাতে প্রতিবাদে মুখর হওয়া যায় সেটা দেখা দরকার।
অন্যদিকে একদিকে যখন আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ তখনই জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে কয়েকজন কুলতলিতে ওই বালিকার বাড়িতে যান। সেখানে তাঁরা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আরজি করে পুলিশ যা করেছিল এখানেও সেটা হয়েছে।
ডাক্তার কিঞ্জল নন্দ, দেবাশিস হালদার প্রমুখ এই টিমে ছিলেন। আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকিও আলাদাভাবে সেখানে গিয়েছিলেন।
তবে কুলতলি ইস্যুকে কেন্দ্র করে উৎসবের আবহের মধ্যেই চতুর্থ শ্রেণিতে পাঠরত এক কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। পরিবারের দাবি, তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এরপরই এনিয়ে রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও এনিয়ে আন্দোলনে নেমে পড়েছে। এবার এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকরা আন্দোলনে নামার কথা ঘোষণা করেছেন।
এদিকে জয়নগরের ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত শুক্রবার টিউশন থেকে আর বাড়ি ফেরেনি ছাত্রীটি। পরে একটি ফাঁকা মাঠ থেকে নাবালিকার নিথর দেহ উদ্ধার হয়।দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। সেই ঘটনার পরেই সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কুলতলি। বিক্ষোভের পাশপাশি পথ অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ ক্যাম্পে চালানো হয়েছে ভাঙচুর। জয়নগর থানার পুলিশ ক্যাম্পে পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তারা কার্যত হাতে লাঠি, ঝাঁটা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী শেষবার মহিষমারি হাটের একটি কোচিং সেন্টারে টিউশন পড়তে গিয়েছিল। সেখান থেকে বিকেল পাঁচটার সময় বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় সে।