গত রবিবার করা নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের টেট। পরীক্ষার পর এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে সেরকমভাবে টেট নিয়ে অভিযোগ সামনে আসেনি। এবার প্রাথমিকে টেটের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ‘ভালো কাজ হচ্ছে’ বলেই তিনি মন্তব্য করেন।
আজ মঙ্গলবার একটি মামলা চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘টেট শেষ হওয়ার পর প্রার্থীদের কার্বন কপি দেওয়া হয়েছে। মনে হচ্ছে কাজটা ভালো হচ্ছে।’ অন্যদিকে, পর্ষদের আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন, এবার উত্তরপত্র সংরক্ষণ করা হবে। প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ ওএমআরশিট বা উত্তরপত্র সংরক্ষণ করা হবে বলে তিনি আদালতকে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দুর্নীতি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এদিন বিচারপতির এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
২০১৪ এবং ২০১৬ সালের টেটে উত্তরপত্র নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছিল। সে ক্ষেত্রে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন মামলাকারীরা। তাই এবার উত্তরপত্র সংরক্ষণ রাখছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান গৌতম পাল আগেই স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, নিয়োগে দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। সেই মতোই কড়া নিরাপত্তা মধ্য দিয়ে রবিবার সম্পন্ন হয় প্রাথমিকের টেট। পূর্বের নির্দেশিকা অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক পরীক্ষা করে কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়। সেই সঙ্গে পরীক্ষা শেষে প্রত্যেককেই ওএমআর শিটের কার্বন কপি দেওয়া হয় পর্ষদের পক্ষ থেকে। দুর্নীতি রুখতেই পর্ষদ এবার এই ব্যবস্থা নিয়েছে। এরফলে কোনও দুর্নীতি হলে তা উত্তরপত্র মিলিয়ে সহজেই ধরা যাবে। পর্ষদের এই ব্যবস্থা দেখে খুশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।