আজ, শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে সৎ রঞ্জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। কিন্তু এই কথা যখন এজলাসে বসে শুনলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তখন ভরা এজলাসে হতাশার সুরই শোনা গেল তাঁর গলায়। তিনি যে এই খবরে খুশি নন সেটা বোঝা গেল। তাঁর দাবি, এতদিন ধরে তদন্ত চলছে এখন রঞ্জনকে গ্রেফতার করে কিছুই হবে না।
এদিন প্রাথমিক শিক্ষার দুর্নীতি মামলায় আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘বাগদার রঞ্জন সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। তখনই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘বাগদার রঞ্জন গ্রেফতার হয়ে আর কী হবে? কিছুই হবে না। ৭–৮ মাস ধরে অনেক কিছুই চলছে। সৎ রঞ্জনকে ডাকাও হয়েছে। এখন গ্রেফতার করেছে। কিচ্ছু হবে না।’ আজ, শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বাসিন্দা চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জনকে নিজাম প্যালেসে তলব করেছিলেন তদন্তকারীরা। সেখানে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে চন্দনকে গ্রেফতার করে সিবিআই বলে সূত্রের খবর।
এদিকে তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে সিবিআইকে আগেও কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসনার করেছিলেন বিচারপতি। সরাসরি দেশের বৃহৎ তদন্তকারী সংস্থাকে ভোগাস বলেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার এসএসসি মামলায় আলিপুর আদালতে সিবিআই কোর্টের বিচারকও সিবিআইকে তুলোধনা করে। আর আজ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গেল সিবিআই নিয়ে আক্ষেপের সুর। সিবিআই তদন্ত এত মন্থর গতিতে হচ্ছে বলেই ক্ষুব্ধ বিচার ব্যবস্থা।
অন্যদিকে গত জুলাই মাসে বাগদায় চন্দনের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া ‘রঞ্জন’ই যে আসলে চন্দন মণ্ডল সেটা কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা চলাকালীনই প্রকাশ্যে এসেছিল। তার পরেও কেন সিবিআই ‘রঞ্জন’–কে গ্রেফতার করতে এত দেরি করল? তাই হতাশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উপেন বিশ্বাস বলেছিলেন, ‘রঞ্জন বস্তা ভর্তি করে টাকা নিয়ে গাড়িতে করে কলকাতায় দিয়ে আসত। কার বাড়িতে দিয়ে আসত সেটা তো তদন্ত করতে হবে। কিন্তু কলকাতায় টাকা আসত এটা নিশ্চিত।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup