এসএসসি, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি থেকে শুরু করে একাধিক ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। একাধিক মামলার তদন্তে নেমেছে ইডি। এই আবহে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে যুক্ত করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই এই দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। এই দুর্নীতিতে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছেন সিবিআই তদন্তকারীরা। এবার এই অবৈধ আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি তদন্ত করবে ইডি। উল্লেখ্য, এই প্রথম কোনও মামলায় ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
এদিকে গতকাল এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ১০২ জন চাকরিপ্রার্থীকে কাউন্সেলিং করে তাঁদের নিয়োগপত্র দিতে হবে ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ৯৫২ জন চাকরিপ্রাপকের ওএমআর শিট জমা নিয়েছিল সিবিআই। বিচারপতি নির্দেশ দেন, জমা নেওয়া সেই ওএমআর শিট প্রকাশ করতে হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে।
উল্লেখ্য, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই মামলার তদন্তভার গিয়েছিল সিবিআইয়ের কাছে। এরপর আদালতের নির্দেশ মেনে মেধাতালিকাও প্রকাশ করা হয়। আর সেই মেধাতালিকা সামনে আসতেই একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসছে। এই আবহে নবম-দশমে বয়স ভাঁড়িয়েও চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ২১ জনকে জেরার জন্য সিবিআইকে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এমনকী গোটা প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এনিয়ে বিচারপতি বসু এদিন জানিয়ে দেন, দুর্নীতি কোথায় হয়েছে তা দেখা হবে। তিনি বলেন, ‘যদি দেখা যায় অধিকাংশকেই বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে তবে প্রয়োজনে সব নিয়োগ বাতিল করে দেব।’