মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণ মামলার সুপ্রিম শুনানির সময় এজলাসে উপস্থিত ছিলেন না সিবিআই-এর আইনজীবী। এই নিয়ে সিবিআই-কে সতর্ক করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যের মামলার শুনানি ছিল। তবে সেই শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন না সিবিআই-এর আইনজীবী। এই আবহে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির সময় যেন আইনজীবী উপস্থিত থাকেন।
সিবিআই-এর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বিতারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘বিষয়টা হালকাভাবে নেওয়া উচিত হয়নি।’ প্রসঙ্গত, উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছিল মানিককে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক। সেই মামলার শুনানিতেই অনুপস্থিত ছিলেন সিবিআই আইনজদীবী। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোরাধ্যায়। এই নিয়ে সিবিআই বিচারপতিকে বলেছে, ‘ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে ২৬ পাতার রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২০ ডিসেম্বর।’
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। সেই মামলায় জামিনের আর্জি জানালেও তা খারিজ করে দেওয়া হয় আদালতের তরফে। এদিকে মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বেআইনি পথে নিয়োগের বদলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মানিকের বিরুদ্ধে। ৩২৫ জনকে পাশ করানোর জন্য ৩.২৫ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ মানিকের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা নগদ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ইডি দাবি করেছে, কলামন্দিরে বেসরকারি বিএড, ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে কলেজগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে দিতে বলা হয়েছিল। সেই বাবদ মানিকের ছেলের কোম্পানিতে ২.৬৪ কোটি টাকা ঢুকেছিল। ইডির নজরে মানিকের ছোটভাই, জামাই, জামাইয়ের বাবাও। ইডির দাবি, ‘এই ৩ জন মানিকের অ্যাকাউন্ট যাবতীয় আর্থিক লেনদেন দেখতেন।’