মাদ্রাসায় সাম্মানিক স্নাতক স্তরে চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন খলিলউল্লাহ বৈদ্য। তবে ১৩ বছর পরও হাতে নিয়োগপত্র পাননি তিনি। অভিযোগের পর অভিযোগ জানিয়েও মেলেনি কোনও সমাধান। শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন খলিলউল্লাহ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলার শুনানি হয়। মে মাসেই শিক্ষককে নিয়োগপত্র এবং বকেয়া বেতন মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তাতেও ঘুম ভাঙেনি মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের। রায়দানের তিন মাস পরেও উচ্চ আদালতের নির্দেশ না মানায় মঙ্গলবার মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর ৯ ঘণ্টার মধ্যে রাতেই অভিযোগকারী শিক্ষককের কাছে পৌঁছে যায় নিয়োগপত্র।
২০০২ সালে খিদিরপুরের হাই স্কুলে চাকরি পান খলিলউল্লাহ বৈদ্য। এরপর ২০০৮ সালে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন। কিন্তু মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন যে স্কুলে নিয়োগের সুপারিশ দেয় সেখানে কোনও শূন্যপদ ছিল না। এই আবহে চাকরি পেয়েও চাকরিতে যোগ দিতে পারছিলেন না খলিলউল্লাহ। এরপরই খলিলউল্লাহের আদালতে মামলা করেন।
এই আবহে গত মে মাসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রায় দেন, ৯০ দিনের মধ্যে বাড়ির ২০ কিলোমিটারের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশপত্র এবং ২০০৯ সাল থেকে বকেয়া বেতন দিতে হবে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে। তবে সেই নির্দেশ মানা হয়নি। এই আবহে গত মঙ্গলবার বিচারপতি নির্দেশ দেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোর মধ্যে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। এরপরই গতরাতে নিয়োগপত্র হাতে পান খলিলউল্লাহ। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ মামলাকারীর বাড়িতে সেই নিয়োগপত্র পৌঁছে দেওয়া হয় বলে জানা যায়। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ মতো বকেয়া ১০ লাখ টাকা বেতনও দেওয়া হয়।