শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআইকে দিয়ে আমি হতাশ। এর থেকে সিট ভালো। ভাবছি তদন্তভার হস্তান্তর করা যায় কি না। মঙ্গলবার এক মামলার শুনানিতে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথোপকথনের সময় এই কথা বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যার একের পর এক সিবিআই তদন্তের নির্দেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে।
এদিন এজলাসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সিবিআইকে তদন্তভার দিয়ে আমি হতাশ। গত নভেম্বরে প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলাম। তার পর আট মাস কাটতে চললেও এখনো চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্র পাননি। তাঁরা কেউ রাস্তায়, কেউ বাড়িতে চাকরি পাওয়ার দিন গুনে চলেছেন। সিবিআই যে রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে তাও সন্তোষজনক নয়। এদের নোবেল দেওয়া উচিত। এর থেকে সিট ভালো ছিল। কলকাতা পুলিশে বহু যোগ্য আধিকারিক রয়েছেন। তদন্তভার হস্তান্তর করা যায় কি না সেব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করছি’।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জন্য আমি লড়াই চালিয়েছিলাম। কিন্তু তাদের নিয়োগের ব্যাপারে কোনও আশা আমি দেখতে পাচ্ছি না। শুধু সংবাদমাধ্যমে আমার নাম প্রচারিত হয়েছে। এটা আমার উদ্দেশ ছিল না’।
জবাবে কল্যাণবাবু বলেন, ‘সিবিআই তদন্তে সাফল্যের হার খুবই কম। ভিখারি পাসওয়ান হত্যাকাণ্ড, রিজওয়ানুর হত্যাকাণ্ডের রহস্যের সমাধান সিবিআই করতে পারেনি। একের পর এক সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার আগে বিবেচনা করা উচিত ছিল। এখন তাদের হাত থেকে তদন্ত ফিরিয়ে নেওয়া কতটা সম্ভব জানি না।’
বলে রাখি, সোমবারই প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।