যদি বড় কোনও অভিযোগ সামনে না আসে তাহলে প্রাথমিকে নিয়োগে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। শুক্রবার এমনই পর্যবেক্ষণ করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, কেউ যেন সুযোগ পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয়। পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতি সামনে এসেছে সাম্প্রতিককালে। শাসকদলের তাবড় নেতা, প্রভাবশালীরা জেলে গিয়েছেন এই দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে। দুর্নীতি নিয়ে পরপর কড়া পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিকে গতকাল আদালতে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া ২৬২ জনের নামের তালিকা জমা দেয় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এর পর এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সিবিআইয়ের আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেন, তদন্তে যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কি ধৃতদের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ কোনও ব্যক্তির নাম উঠে আসছে? হেফাজতে থাকা ব্যক্তিরা কি তদন্তে সহযোগিতা করছেন? এব্যাপারে সিবিআইকে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে বলেন তিনি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতির আসল অপরাধী কে তা আমরা সবাই জানে। কিন্তু আমার জীবদ্দশায় তার শাস্তি হবে বলে মনে হয় না।’ এর পরই এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই।
এদিকে ৮২ নম্বর পাওয়া বহু টেট ‘অনুত্তীর্ণ’ প্রার্থীকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সংরক্ষিত বিভাগের প্রার্থীদের ক্ষেত্রেই সেই নির্দেশ প্রয়োজ্য হবে। অর্থাৎ ২০১৪ সাল এবং ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেটে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা এবারের টেট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবেন। মামলাকারীদের আইনজীবী দাবি করেন, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই) জানিয়ে দিয়েছে যে ৮২ নম্বর পেলেই টেট উত্তীর্ণ বলে বিবেচনা করতে হবে। সেই সওয়ালের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ২১ জনকে এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।