বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > ইয়ার্কি হচ্ছে! CBI-কে ধমক বিচারপতির, কর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

ইয়ার্কি হচ্ছে! CBI-কে ধমক বিচারপতির, কর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

নিয়োগ দুর্নীতিতে কিছুতেই গতি আসছে না বলে বার বার অভিযোগ তুলছেন খোদ বিচারপতিরা। একাধিক বিচারপতি এদিন এনিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। 

সিবিআই আধিকারিক সোমনাথ বিশ্বাসকে আগেই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। বিশেষ তদন্তকারী দল সিট থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কোনও ওজর আপত্তিতে কান দেয়নি আদালত। এবার সেই সিবিআই আধিকারিকের সম্পত্তির হলফনামা পেশ করতে বললেন বিচারপতি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে কি না সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এটা পরিষ্কার যে সিবিআই যেভাবে তদন্ত করছে তাতে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট বিচারপতি। পরে অবশ্য় সিটের সমস্ত সিবিআই আধিকারিকের সম্পত্তির হিসেব চেয়ে পাঠানো হয়।

সিবিআই যেভাবে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে তাকে ঢিমেতালে বলেই মনে করছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার আদালতে শুনানি চলাকালীন বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সিবিআইয়ের আইনজীবীকে। দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ তিনি। তদন্ত যে গতিতে চলছে তাকে অত্যন্ত বিরক্ত তিনি। বিচারপতি জানান, সারা পশ্চিমবঙ্গের লোক তাকিয়ে বসে আছে কী হবে। আপনারা ইয়ার্কি মারছেন? সোমনাথ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করা উচিত।

এর সঙ্গেই এদিন বিচারপতি জানিয়ে দেন, আমি তো দেখছি এবার ইংল্যান্ডের তদন্তকারী সংস্থা এমআই-৫ এর উপর ভরসা করতে হবে। কার্যত তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে এদিন অত্যন্ত অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি।

এর সঙ্গেই এদিন বিচারপতি জানিয়ে দেন, সিবিআই কল্পনাও করতে পারবে না তাদের সামনে কতটা খারাপ দিন আসছে। একেবারে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি।

মূলত যেভাবে ঢিমেতালে তদন্ত প্রক্রিয়া এগোচ্ছে তা নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। আর সেই সিবিআইকে আরও চাপে রাখতে এদিন কার্যত কড়া দাওয়াই প্রয়োগ করেন বিচারপতি। একেবারে সিবিআই আধিকারিকের সম্পত্তির হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য়ও তিনি বলেন।

তবে এর আগে বিচারপতি এক অভিনেত্রীর কথা উল্লেখ করেছিলেন। সেই অভিনেত্রী সম্পর্কে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্যও তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই অভিনেত্রীর সিনেমা দেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সেই অভিনেত্রীর তিনটি ফ্ল্যাট ভেঙে একটি ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন। তবে সেই অভিনেত্রী বাস্তবে কে সেটাই জানতে চাইছে গোটা রাজ্য। ট্রেনে বাসে , পুকুরঘাটে. চায়ের দোকানে এখন একটাই চর্চা কে সে অভিনেত্রী? তার সঙ্গেও চর্চা হচ্ছে, তদন্তের ক্ষেত্রে কোথাও কি বোঝাপড়া হয়ে যাচ্ছে? তার জেরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তে গতি আনছে না? এই প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।

 

বন্ধ করুন