বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > দুর্নীতি বন্ধ না হলে মাদ্রাসা কমিশন তুলে দেব, হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

দুর্নীতি বন্ধ না হলে মাদ্রাসা কমিশন তুলে দেব, হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

এই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মাদ্রাসা কমিশনের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, কমিশনের রুল অনুসারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হল কেন?

লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগে অতিষ্ঠ হয়ে এবার মাদ্রাসা কমিশনকে তুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়ায় এক মামলায় এই কথা বলেছেন বিচারপতি। সঙ্গে মাদ্রাসা কমিশনকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন তিনি।

আনোয়ার হোসেনসহ ৭ জন মামলাকারীর দাবি, ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসা কমিশন যে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল তাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা উল্লেখ ছিল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তেমন কিছু ঘটেনি। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের পেরিয়ে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন প্রশিক্ষণহীনরা। এব্যাপারে মাদ্রাসা কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোনও সুরাহা মেলেনি।

এই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মাদ্রাসা কমিশনের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, কমিশনের রুল অনুসারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হল কেন? প্রশ্নের কোনও গ্রহণযোগ্য জবাব দিতে পারেননি মাদ্রাসা কমিশনের আইনজীবী।

এর পরই ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, ‘মাদ্রাসা কমিশন নিয়ে এত অভিযোগ কেন? এভাবে চললে আমি মাদ্রাসা কমিশনই তুলে দেব?’ এই বলে মাদ্রাসা কমিশনকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি। সেই জরিমানা ৭ আবেদনকারীর মধ্যে সমান ভাবে ভাগ করে দিতে বলেছেন বিচারপতি।

বলে রাখি, সম্প্রতি আদালতে গ্রীষ্মাবকাশের পর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের বিচার্য বিষয় পরিবর্তন হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে শুরু হয়েছে প্রাথমিক ও মাদ্রাসা বিষয়ের মামলার শুনানি। আর তার পরই তাঁর এজলাসে দায়ের হচ্ছে ভুরি ভুরি মামলা।

 

 

বন্ধ করুন