ইংরেজি মিডিয়াম নাকি বাংলা মিডিয়াম? এনিয়ে লড়াই চলছে নিরন্তর। সামর্থ্যের বাইরে গিয়েও অনেকে সন্তানকে ইংরেজি মিডিয়ামে ভর্তি করতে চান। তবে এবার সেই ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের প্রসঙ্গে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
এক শিক্ষিকার বদলি সংক্রান্ত মামলায় বিশেষ মন্তব্য করেছেন বিচারপতি বসু। কসবার কেশব আকাদেমির এক শিক্ষিকা বদলির প্রার্থনা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। দুর্ঘটনায় তাঁর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তাঁর। তিনি ব্যারাকপুর থেকে কসবার স্কুলে পড়াতে আসেন। বদলি চেয়েও পাননি। সেই প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী সুপ্রিম চট্টোপাধ্যায়কে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ইংরেজি মিডিয়াম মানেই ভালো এই ধারনা কেন? আপনি কি আশ্বাস দিতে পারেন বেসরকারি স্কুল সব গাইডলাইন পালন করে?
তিনি জানিয়েছেন, বাংলা মিডিয়ামে তো বিএড শিক্ষক আছেন।যারা অন্তত ভালো শিক্ষা দিতে পারেন। ইংরেজি মাধ্যমে সবাই এই পদ্ধতি মেনে নিয়োগ করে? বিচারপতির প্রশ্ন, এত খারাপ অবস্থা কেন? চাকরি উৎপাদনের ভালো কোম্পানি শিক্ষা দফতর। সব বন্ধ হলেও টিচার সাপ্লাই বন্ধ হবে না। দক্ষিণে তো এমন অবস্থা নয়। এমনকী কীভাবে এই পরিস্থিতির বদল হবে তা আদালতে জানানোর নির্দেশ তিনি দেন।
এদিকে ওই স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রের সংখ্য়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি। এদিকে রাজ্য়ের তরফে জানানো হয়েছিল, স্কুলে ১২জন শিক্ষক ও ১২জন পড়ুয়া। এই পরিসংখ্য়ানের কথা শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন স্কুলটিকে অন্য স্কুলের সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছেন না কেন? তলে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, স্কুলে একজন পড়ুয়াও যখন থাকবে তখনই ওই স্কুলকে অন্য স্কুলের সঙ্গে মার্জ করে দেওয়া হবে।
এনিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি জানিয়েছেন, শিক্ষকদের সুবিধার জন্য আইন থাকলে তাঁদের বাড়িতে রেখে বেতন দিন। ডিআইয়ের যদি ইনপুট না থাকে কত স্কুল আছে, তাঁকে ইস্তফা দিতে বলুন।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এদিন আদালত একটি বিশেষ বিষয়ের উপর আলো ফেলেছেন। অনেকের মতে, ইংরেজি মিডিয়ামেরও যে দুর্বলতা থাকতে পারে, ইংরেজি মিডিয়াম মানেই যে ভালো আর বাংলা মিডিয়াম মানেই খারাপ বলে যারা মনে করেন তাদের জন্য় এদিন বিচারপতির বক্তব্য়ের কথা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup