শিক্ষক বদলিতেও দুর্নীতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সোমবার এই সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই মন্তব্য করেন তিনি। শুধু তাই নয়, যে সমস্ত শিক্ষকরা বদলি নিতে চাইছেন তাঁদের চাকরি ছেড়ে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি। এই বলে আগামী দুসপ্তাহের মধ্যে পুরুলিয়া জেলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শিক্ষক বদলি নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন তিনি।
ঝালদা হাইস্কুলের এক শিক্ষক বদলির আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। তার ভিতরে কিছুদিন আগেই পুরুলিয়ার জেলা স্কুল পরিদর্শককে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি। আজ সোমবার তিনি কোর্টে হাজিরা দেন। তিনি আদালতকে জানান, প্রায়ই বদলির ঘটনা ঘটছে। এর বলে গোটা জেলার স্কুলের অবস্থা খারাপ। প্রায় ৬০ শতাংশ শিক্ষক বদলি নিয়ে অন্য জেলায় চলে গিয়েছেন। ফলে অনেক স্কুলে তুলনামূলক কম শিক্ষক রয়েছে। এমনকি বেশ কিছু স্কুলে উচ্চমাধ্যমিকের পঠন পাঠনও বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ঝালদা হাইস্কুল নিয়ে তিনি বলেন, ‘স্কুলে আগে ২১ জন শিক্ষক ছিলেন বর্তমানে ৮ জন শিক্ষক রয়েছে।’ এরপরেই বিচারপতি বলেন, ‘এখন দেখছি বদলিতেও দুর্নীতি হচ্ছে। পড়ুয়াদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করুন।’ তার ভিত্তিতে পুরুলিয়া জেলার স্কুলগুলির পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলেন বিচারপতি।
এ বিষয়ে ঝলদা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র বলেন, বর্তমানে শিক্ষকের অভাবে অনেক ক্লাসই হয় না। সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের। পঠনপাঠন ঠিকমতো হচ্ছে না। এই অবস্থায় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক-সহ অভিভাবক ও পড়ুয়ারা। স্কুলে ছাত্ররা কি পূর্ণ সময়ের ক্লাস করতে পারবেন? কবে মিটবে শিক্ষকের অভাব? সেদিকে তাকিয়ে সকলেই। যদিও এই সমস্যা সমাধানের উত্তর জানা নেই তাঁদের।