রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বাংলার নোবেল জয়ীদের মত কী তা জানতে চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিজের এজলাসে সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথোপকথন চলাকালীন এই প্রশ্ন করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
তিনি জানতে চান,‘ওঁরা নানা বিষয়ে মতামত জানিয়ে থাকেন। আমার কৌতূহল, স্কুল নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে এই সব মহান, স্বীকৃত শিক্ষাবিদদের পর্যবেক্ষণ কী?’ সীকৃত শিক্ষাবিদ কারা তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি বলেন,‘স্কুলে নিয়োগে এত বড় দুর্নীতি হল। কী বলছেন নোবেল জয়ীরা? অর্মত্য সেন রয়েছেন, যিনি প্রতীচী ট্রাস্ট গড়ে শিক্ষা নিয়ে কাজ করছেন। নোবেলজয়ী বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। আমার জানতে ইচ্ছা করছে এঁরা কী বলছেন এ বিষয়ে? এই সব মহান, স্বীকৃত শিক্ষাবিদদের এ ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ কী?’
সম্প্রতি অমর্ত্য সেন মন্তব্য করেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে।’ বিচারপতি যে নোবেলজয়ীদের মন্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করেছেন তা কী এই মন্তব্য ? যদিও সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেন তিনি। তবে রাজনীতিবিদদের মতে বিচারপতির ইঙ্গিত সে দিকেই।
অমর্ত্য সেনের মন্তব্যকে ঘিরে ইত্যিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে তরজা চলেছে। তৃণমূল তাঁর এই মন্তব্যকে স্বাভাবিক ভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। বিজেপিকে একে কটাক্ষ করছে। অন্য দিকে সিপিএমে একে নোবেলজয়ীর ব্যক্তিগত মত বলে সমালোচনায় ইতি টেনেছে। অপর নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের কোভিড সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির প্রধান ছিলেন। খোদ মমতা বন্দ্যোধ্যায় তাঁকে ওই দয়িত্বে দেন। তাঁদের দুজনের কাছ থেকেই রাজ্যের শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে মত জানতে চেয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।