নন্দীগ্রামে ভোট পুনর্গনণা মামলায় বিতর্ক আরও বাড়ছে। এদিন মামলার শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার পরই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ডেরেক ও'ব্রায়েন দাবি করেছিলেন, যেই বিচারপতির এজলাসে এই মামলার শুনানি হচ্ছে, সেই বিচারপতি কৌশিক চন্দ বিজেপির ঘনিষ্ঠ। শুধু তাই নয়, তাঁকে বিজেপির সভায় উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে। সেই অভিযোগের পর এবার নয়া অভিযোগ তৃণমূলের তরফে। মহুয়া মৈত্র, ডেরেক ও'ব্রায়েন, দেবাংশু ভট্টাচার্যদের দাবি, বিজেপির হয়ে একাধিক মামলা লড়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। আর এরপরই বিতর্ক আরও বেড়েছে।
এদিন এই বিষয়ে প্রথমে ডেরেক ও ব্রায়েন দুটি টুইট করে দাবি করেছিলেন যে বিজেপির সভাতে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে বিচারপতি কৌশিককে। এরপরই পৃথক একটি টুইটে ডেরেক দাবি করেন যে কৌশিক চন্দ বিজেপির হয়ে অনেক মামলা লড়েছেন। সেই সংক্রান্ত একটি তালিকা টুইট করেন ডেরেক। পরে সেই একই তালিকা টুইট করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
এদিকে দেবাংশু ২০১৫ সালে তথাগত রায়ের একটি ফেসবুর পোস্টের স্ক্রিনশট তুলে ধরেন। তাতে তথাগত বাবুকে কৌশিক চন্দের সুখ্যাতি করতে দেখা গিয়েছে। সেই স্ক্রিনশট দিয়ে দেবাংশুও বিচারপতি কৌশিক চন্দের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এদিকে বিজেপির দাবি, বিচারপতি হওয়ার আগে কৌশিক চন্দ একজন আইজীবী ছিলেন। সেই সময় কোনও বিজেপি অনুষ্ঠানে গিয়ে থাকলে তা আলাদা বিষয়। বিচারপতি হওয়ার পর কোনও অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেননি।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামের ভোটের পুনর্গণনা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে জন প্রতিনিধি আইন অনুযায়ী এই ধরনের মামলার শুনানির সময় আবেদনকারীর আদালতে উপস্থিত থাকার কথা। তবে এদিন আদালতে মামলাকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপস্থিত থাকায় মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়।