এসএসসিতে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে তলব করেছিল আদালত। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে বিচারপতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে একাধিক প্রশ্ন করেন। তবে এদিন কোনও রায় দেননি। এসএসসিতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মূল মামলাটি যেহেতু বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে রয়েছে, তাই বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এই মামলাটি ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন।
এই প্রসঙ্গে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানান, ‘এই সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দেখছেন। ফলে আমি আর এতে ঢুকতে চাই না। আমার মনে হয়, তাঁরই মামলাটি শোনা উচিত। প্রধান বিচারপতিকে বিষয়টি জানিয়ে দেব। যোগ্য ব্যক্তিরা চাকরি পান। দোষী ব্যক্তিরা উপযুক্ত শাস্তি পান। আমি মামলাটি ছেড়ে দিচ্ছি।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি একটা অর্ডার দিচ্ছি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরেকটা অর্ডার দিচ্ছেন। এটা ক্ল্যাশ করে যাচ্ছে।’ এই মামলার পরবর্তী শুনানি সেপ্টেম্বরে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে এই তলব। পাঁচ জন চাকরিপ্রার্থী মামলা করেছিলেন। তাঁদের দাবি, মেধা তালিকায় ওয়েটিং লিস্টে তাঁদের নাম ছিল। আর এই তালিকায় যাদের নাম নীচের দিকে রয়েছে, তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
এসএসসির থেকে পরীক্ষা সংক্রান্ত রিপোর্ট চাওয়া সত্বেও সময়ের মধ্যে না পাওয়ায় কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে তলব করে আদালত। এই সিদ্ধার্থবাবুকে আদালতের তরফে প্রশ্ন করা হয়, কমিশন এত গড়িমসি করছে কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, ‘বিশাল নথির পাহাড় রয়েছে। সেখান থেকে নথি পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। দুটো ডেটা রুম সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছে। সিবিআই রোজ কাজ করছে। নথি সংগ্রহ করছে। একটি কম্পিউটার গোলমাল করছে। তথ্য দিতে সময় লাগবে।’ এই প্রসঙ্গে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানান, ‘সিবিআই সংক্রান্ত মামলা বা একজনকে বঞ্চিত করে অন্য জনকে চাকরি দেওয়া সংক্রান্ত মামলাগুলিতে এই আদালত কিছু করবে না। এই বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কিছু নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে সেই সংক্রান্ত অন্য মামলায় যদি অন্য নির্দেশ আসে, তাহলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে।’