জেলে থাকাকালীন একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন। শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকেই শুরু হয়েছিল ভাঙন। অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। এরপর দীর্ঘ ১৫ মাস পরে সোমবার বিধানসভায় গেলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিকে সংবাদ মাধ্য়মের সামনে মুখ খোলার ব্যাপারে কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে তাঁর। সেকারণে অত্যন্ত সতর্ক বালু মল্লিক। বেলা সাড়ে ১২টার পরে তিনি বিধানসভায় যান। এদিন সংবাদমাধ্য়মের কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
এতদিন জেলে ছিলেন। এবার বিধানসভায় যোগ দিতে গেলে কী করতে হবে সেটা জানার জন্য তিনি এদিন উদ্যোগ নেন। দলের মুখ্য় সচেতক নির্মল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কয়েকজন বিধায়কের সঙ্গে সেখানেই দেখা হয় তাঁর।
২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়েছিল জ্যোতিপ্রিয়কে। রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি তাকে গ্রেফতার করে। এরপর অনেকদিন জেলে। কিছুদিন হাসপাতালেও ছিলেন। অবশেষে গত ১৫ জানুয়ারি বিশেষ ইডি আদালতে ৫০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ও ২৫ হাজার টাকার দুটি বন্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে। এরপর তিনি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান। এরপর গাড়িতে সোজা সল্টলেকের বাড়িতে। সংবাদমাধ্য়মের সামনে একেবারেই মুখ খোলেননি তিনি।
সাদা টুপি, সাদা জামা বিধানসভায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে জেলে এতদিন থাকার একটা ধকলের ছাপ এখনও রয়েছে চেহারায়। অনেকটাই ওজন কমেছে বলে খবর। তিনি উত্তর ২৪ পরগনায় দলের কী পরিস্থিতি, সংগঠন কীভাবে চলছে সেব্যাপারে খোঁজখবর নেন বলে খবর। এমনকী বকেয়া বেতন তুলতে গেলে কী করতে হবে সেব্যাপারে খোঁজ করেন তিনি। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ফের তিনি বিধানসভায় যেতে পারেন।
এদিকে এতদিন মন্ত্রী ছিলেন তিনি। তবে বর্তমানে তিনি আর মন্ত্রী নন। কেবলমাত্র হাবড়ার বিধায়ক। সেক্ষেত্রে আগে মন্ত্রী হিসাবে তিনি যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা পেতেন তেমনটা আর নেই। তবে দীর্ঘদিন পরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে দেখে অনেকেই এদিন চমকে যান।
উত্তর ২৪ পরগনার অত্যন্ত দাপুটে নেতা হিসাবেই পরিচিত ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। একটা সময় ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। তখন রাজ্য জুড়েই জ্যোতিপ্রিয়র প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। পরে তিনি বনমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু এখন তিনি কেবলমাত্র বিধায়ক। তার উপর এতদিন ধরে জেলে থেকেছেন। এবার তিনি ফের আগের সেই প্রভাব প্রতিপত্তি ফিরে পান কি না সেটাই দেখার।