সাংবাদিকের প্রতি কটূক্তি করা নিয়ে ক্ষমা চাইলেন গায়ক তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কবীর সুমন। তবে নিজস্ব ভঙ্গিমাতেই নিন্দুকদের শ্লেষ ছুড়ে দিয়েছেন গায়ক। তবে তাঁর লেখনীতে তিনি বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি, আরএসএসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুক সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় কবীর সুমনকে নিয়ে একাধিক মন্তব্য উঠে এসেছে। তাঁর মন্তব্যকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এবার ফেসবুকে সেই প্রসঙ্গ টেনে এনেই মুখ খুললেন সুমন। এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘ভেবে দেখলাম, সেদিন টেলিফোনে এক সহনাগরিককে যে গাল দিয়েছিলাম, সেটা সুশীল সমাজের কাছে গর্হিত কাজ। এতে কাজের কাজ তো কিছু হল না। মাঝখান থেকে অনেকে রেগে গেলেন, উত্তেজিত হলেন। এমনিতেই করোনার উৎপাত তার ওপর আবার ফোনে গালমন্দ। লাভ কী। তাই আমি সহনাগরিকের কাছে, বিজেপি–আরএসএসের কাছে, বাঙালির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
একইসঙ্গে আইনজীবীদের উদ্দেশ্য শ্লেষ মিশ্রিত ভাষায় তিনি লেখেন, ‘আইনরক্ষীরা নিশ্চিন্ত থাকুন। আমি চেষ্টা করব সব ব্যাপারে চুপ থাকতে। আর কোন কোন ব্যাপারে কে কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা দাবি করেছেন বা করবেন বলে ভাবছেন, দয়া করে তার একটা তালিকা ডাকযোগে পাঠান। আমি নতমস্তকে সম্মতিসূচক সই করে দেব।’ তবে তিনি যে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়াটাকে অপমান হিসাবেই মনে করে সে কথার ব্যাখ্যা দিয়ে কবীর সুমন জানান, ‘আমার মাতৃসমা গুরুস্থানীয়া সুরসম্রাজ্ঞী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে নব্বই বছর বয়সে যে পদ্মশ্রী খেতাব ছুঁড়ে দেওয়া হল, সেটা মানতে পারলাম না।’
একইসঙ্গে ক্ষমা চাইলেও পাল্টা যুক্তি দিয়ে গায়ক দাবি করেছেন, ‘ওই চ্যানেলের প্রতিনিধি দুজনের কথাবার্তা রেকর্ড করার কথা আমাকে বলেননি। আমার অনুমতিও নেননি।’ সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘লুকিয়ে রেকর্ড করা একটি অডিয়ো ক্লিপ যারা শুনেছেন ও ব্যাথিত হয়েছেন, তাঁদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী এই অধম।’ তবে তাঁর মতে, বিজেপির মতো সংখ্যালঘু বিদ্বেষী দল ও তাদের সমর্থিত চ্যানেলকে গালাগাল করে কোনও গর্হিত কাজ তিনি করেননি।