বাংলার রাজনীতিতে ক্রমশ পালটে যাচ্ছে চিত্র। শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিলেন। মিহির গোস্বামী দল ছেড়ে দিলেন। কয়েকজন বিধায়ক বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রচেতরঞ্জন চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে গেলেন বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। প্রচেতবাবুর পরিচয় তিনি বাঙালি ধর্ম সংস্কারক শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের পুত্র। অনুকূল ঠাকুরের একমাত্র জীবিত সন্তান প্রচেতরঞ্জন চক্রবর্তীর সঙ্গে কৈলাসের দেখা করা নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি।
শনিবার বাগুইআটির নারায়ণতলায় প্রচেতরঞ্জন চক্রবর্তীর বাড়িতে গিয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে দু’জনের মধ্যে কথাবার্তা হয়। প্রচেতবাবুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিজয়বর্গীয় দাবি করেন, ব্যক্তিগত পরিচয় থেকেই শনিবার এসেছিলেন তিনি। এই সাক্ষাৎ একান্তই সৌজন্যমূলক বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে মতুয়া ভোট নিয়ে ঘাসফুল–পদ্মফুল দুই শিবিরকে দড়ি টানাটানি করতে দেখা গিয়েছিল। ঠাকুর পরিবারের ছেলে শান্তনু ঠাকুর ইতিমধ্যে বিজেপির টিকিটে লোকসভার সাংসদও হয়েছেন। সেরকম কিছু ঘটতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
প্রচেতরঞ্জনের বাড়িতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র যাওয়া নিয়ে ফের নতুন কোনও সমীকরণের ইঙ্গিত আছে কিনা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে! যদিও কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে প্রচেতরঞ্জন চক্রবর্তীর অনেক আগে থেকেই ব্যক্তিগত পরিচয় রয়েছে। এই বৈঠকে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। তবে শুভেন্দু অধিকারী ইস্যুতে বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘এখনও উনি তৃণমূলে রয়েছেন। তাই এই নিয়ে কথা বলার কোনও প্রশ্ন নেই।’ উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাড়িতে গিয়েও যেতে দেখা করেছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।