অনুব্রত- কাজল সংঘাত ফের প্রকাশ্যে। এবার সরকারি একাধিক প্রকল্পে বীরভূম জেলা পরিষদের সাফল্য ও ব্যর্থতাকে ঘিরে প্রকাশ্যে এল বীরভূমের দুই নেতার দ্বন্দ্ব। অনুব্রতর বিরুদ্ধে সরাসরি চক্রান্তের অভিযোগ করলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ।
একটি সমাজ মাধ্যমে গতকাল অনব্রত মন্ডল বলেন, বীরভূম জেলা পরিষদ হঠাৎ পিছিয়ে গেল। মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। দেখতে হবে৷ আবার আমরা এক নম্বরে চলে যাবো।
তারই পরিপেক্ষিতে আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। তিনি দাবি করেন ১৫তম ফিনান্স কমিশনের কাজে পিছিয়ে থাকলেও বাকি প্রকল্পগুলিতে ভালো অবস্থানে আছে বীরভূম জেলা পরিষদ। অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গে এরপরই কাজলের দূরত্ব সামনে চলে আসে। চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন কাজল। তাঁর দাবি, খেতে পারছে না, তাই চক্রান্ত করা হচ্ছে। বলা বাহুল্য এক্ষেত্রে কাজলের ইঙ্গিত অনুব্রতর দিকেই। বীরভূমে হঠাৎ বোমা উদ্ধার। সিউড়ি ও লাভপুরে পুলিশ আক্রান্ত হওয়া নিয়েও দলের নেতাদের একাংশের দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে অনুব্রত দাবি করেছিলেন, তাঁকে পূর্ব বর্ধমানের তিনটি বিধানসভা কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট ও আউসগ্রাম এবং মুর্শিদাবাদের বড়ঞার দায়িত্ব তাকে দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। আজ কেষ্টর সেই দাবিকেও নস্যাত করে দিলেন কাজল শেখ। যতক্ষণ না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি না বলছেন, ততক্ষণ অনুব্রতর দাবি তিনি মানেন না বলেও জানান কাজল।