বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই বিপুল ভোটে জয়ী হলেন শান্তনু পত্নী কাকলি সেন

প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই বিপুল ভোটে জয়ী হলেন শান্তনু পত্নী কাকলি সেন

কাকলি সেন। ছবি সৌজন্যে ফেসবুক।

প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে বাজিমাত করলেন কাকলি সেন। উত্তর কলকাতার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ২৪ হাজার ৩৩৫ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন কাকলি সেন।

এবারের পুরভোটে অনেক নতুন মুখ দেখা গিয়েছে তৃণমূলের। তাতে অবশ্য দলের অন্দরেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। মঙ্গলবার পুরভোটের ফল প্রকাশ হতেই কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই দেখা গেল সবুজ ঝড়। অধিকাংশ ওয়ার্ডই তৃণমূলের দখলে। রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের স্ত্রী কাকলি সেনকেও এবার প্রথমবারের জন্য প্রার্থী করেছিল তৃণমূল।

প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে বাজিমাত করলেন কাকলি সেন। উত্তর কলকাতার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ২৪ হাজার ৩৩৫ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন কাকলি সেন।

এই বিপুল জয়লাভকে মানুষের আশীর্বাদ হিসেবেই দেখছেন কাকলি সেন। ভোটে জয়ী হয়ে তিনি বলেন, 'মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করেছে।' তাঁর কথায়, 'ভালো ছাত্র ছাত্রীরা নম্বর নিয়ে আশা করে না, তারা ভালো ফলাফল করবে সেটাই আশা করে।'

পেশায় চক্ষু চিকিৎসক কাকলি সেন। তাঁর স্বামী শান্তনু সেন রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকলেও অবশ্য কখনই রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকতে দেখা যায়নি কাকলি সেনকে। উত্তর কলকাতার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী হওয়ার পরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনকল্যাণমুখী প্রকল্পকে সামনে রেখে ভোট প্রচার চালিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে চিকিৎসক হওয়ার সুবাদে ডেঙ্গু থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগ নিয়ে সচেতনতা মূলক প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি।

স্ত্রীর জয়লাভের পর শান্তনু সেন বলেন, 'বিগত ৫-৬ মাস ধরে বিরোধীরা তৃণমূলের বিকল্প হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল। কিন্তু মানুষ তাদের সমর্থন করেনি। এটা ত্রিপুরা নয়, এটা বিপ্লব দেবের সরকার নয়। এটা বাংলা। যেখানে মানুষ প্রকাশ্যে বলতে পারে। যে কোনও গন্ডগোল হলে পুলিশ দোষীদের গ্রেফতার করবে।'

বন্ধ করুন