তারিখের পর তারিখ। কিন্তু কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। তাই বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ। এবারও পিছিয়ে গেল। এই নিয়ে একাধিকবার পিছিয়ে গেল ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ। তার জেরে মামলা গতি হারাচ্ছে। কেন বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’ এখনও অসুস্থ বলে খবর। তাই আজ, মঙ্গলবারও তাঁকে আদালতে তোলা গেল না। যদিও আগামী সপ্তাহে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে বিশেষ আদালত।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টাকা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত এই ‘কালীঘাটের কাকু’ বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ। এই টাকার লেনদেনের সময় তাঁর কণ্ঠস্বর শোনা গিয়েছে। এমন অডিয়ো স্যাম্পেল হাতে পেয়েছে সিবিআই। সেই অডিয়ো স্যাম্পেলের সঙ্গে ‘কালীঘাটের কাকুর’ কণ্ঠস্বর মিলিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। তাহলেই দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যাবে। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সংশোধনাগারে ‘কালীঘাটের কাকু’ ফিরলেও এখনও তিনি অসুস্থ। আর তার জেরেই নেওয়া যাচ্ছে না কণ্ঠস্বরের নমুনা। পর পর দু’বার তারিখ দিয়েও তা করা যায়নি। এবার তৃতীয়বার তারিখ মিললেও নেওয়া গেল না কণ্ঠস্বরের নমুনা।
আরও পড়ুন: এসএসকে–এমএসকে শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে দিল রাজ্য সরকার, কবে হাতে পাবেন?
দীর্ঘ অসুস্থতার জেরে আজও নগর ও দায়রা আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি কাকু। তাই আজ, মঙ্গলবার নির্ধারিত দিন থাকলেও নেওয়া গেল না সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা। আজ বিচারক জানিয়েছেন, আগামী ২৯ জানুয়ারি ‘কালীঘাটের কাকু’ কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। আর সেই দিন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ইডির মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। কিন্তু সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। তারপরই নানা তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে চার্জ গঠিত হয়েছে ‘কালীঘাটের কাকু’–সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। কিন্তু কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ হয়নি।
‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে সিবিআইকে অনুমতি দিয়েছে বিশেষ আদালত। এমনকী বারবার দিনও ধার্য হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ‘কালীঘাটের কাকু’। এমনকী বেসরকারি হাসপাতাল থেকে জেলে ফেরত এলেও তিনি এখনও অসুস্থ। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জগঠনের দিনই আদালতে আসার পথেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তখন প্রথমে তাঁকে এসএসকেএম এবং রাতে নিউ আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর আইসিইউতে। পরে সিসিইউতে পাঠানো হয়। এমনকী তাঁকে পরবর্তী সময়ে ইএম বাইপাসে বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এখন তিনি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ফিরেছেন।