সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, অভূতপূর্ব ফলাফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপর থেকেই উন্নয়নের কাজ জোরকদমে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। সেটা দিঘার জগন্নাথ মন্দিরই হোক বা কালীঘাটের স্কাইওয়াক। জোরকদমে কাজ চলছে। এবার প্রতীক্ষা অবসান হতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রীর বেঁধে দেওয়া সময়সীমা মতোই অগস্ট মাসে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে কালীঘাট স্কাইওয়াক। সংস্কার চলছে কালীঘাট মন্দিরেরও। এই দুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে একই সময়ে বলে সূত্রের খবর। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। আর তা খুলে দিলে মানুষের উপকার হবে।
বেশ কয়েকবছর ধরে চলছে কালীঘাট স্কাইওয়াক নির্মাণের। ইতিমধ্যেই কাস্টিংয়ের কাজও সম্পূর্ণ হয়েছে। নির্মীয়মাণ স্কাইওয়াকের উপর শেড বসানোর কাজও চলছে। এই স্কাইওয়াকে ওঠানামার জন্য কংক্রিটের সিঁড়িও সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যেই বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়ে যাবে। এমনই দাবি করা হচ্ছে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ তথা রাসবিহারী বিধানসভার বিধায়ক দেবাশিস কুমার বলেন, ‘জুলাই মাসের মধ্যে স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি। মন্দির সংস্কারের কাজও শেষের দিকে। স্কাইওয়াক এবং কালীঘাট মন্দিরের উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।’
আরও পড়ুন: ‘আমলারা মমতার পদক্ষেপের কথা আমাদের জানাচ্ছেন’, বিস্ফোরক দাবি করলেন অমিত মালব্য
সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে এখন মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে কালীঘাটের স্কাইওয়াক। বাংলার নববর্ষের আগের দিন কালীঘাটে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, অগস্ট মাসের মধ্যেই স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ শেষ হবে। তাই জোরকদমে এখন দিনরাত কাজ করছেন ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। দুর্গাপুজোর আগে এই স্কাইওয়াক খুলে গেলে সেখানে ভিড় বাড়বে। দর্শণীয় স্থান হয়ে উঠবে। এই বিষয়ে এক ইঞ্জিনিয়ারের বক্তব্য, ‘আগে একাধিকবার আমরা ডেডলাইন ফেল করেছি। তাই স্কাইওয়াক নির্মাণের দায়িত্ব কলকাতা পুরসভার হাত থেকে নিয়ে পূর্ত দফতরকে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার আমরা ডেডলাইনের মধ্যে কাজ শেষের সঙ্কল্প নিয়েছি। জুলাই মাসের মধ্যে নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হবে।’
২০২৩ সালে খিদিরপুরে ষোলোআনা মসজিদের গেট উদ্বোধন ও ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কালীঘাট স্কাইওয়াক নির্মাণের শ্লথ গতি নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সামনেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুরসভা। দফায় দফায় বৈঠক করেন মেয়র। স্কাইওয়াক নির্মাণে উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও গড়া হয়। স্কাইওয়াক নির্মাণে বিলম্বের পিছনে মেট্রোর অসহযোগিতাও আছে বলে অভিযোগ ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে স্কাইওয়াকের কাজ চলায় কালীঘাট মন্দিরে যাওয়ার মূল রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। এবার তা কেটে যাবে।