অনশন আন্দোলনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বলা ভালো আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। একের পর এক তৃণমূল নেতৃত্ব চিকিৎসকদের এই অনশন আন্দোলনকে কটাক্ষ করেছেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল তৃণমূল এমপি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম।
শ্রীরামপুরে দুর্গাপুজোর কার্নিভালে এসে চিকিৎসকদের অনশন আন্দোলন নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কল্যাণ বলেন, মাননীয়া মুখ্য়মন্ত্রী প্রথমে কলকাতায় করেছিলেন এই কার্নিভাল। তারপর থেকে জেলায় জেলায় এটা করতে বলেছেন। মানুষ অপেক্ষা করে। মানুষ মেতে ওঠে। এটা বিশ্ববন্দিত হয়েছে। সারা বিশ্বের মানুষ অপেক্ষা করেন এই কার্নিভাল দেখার জন্য। মানুষের উচ্ছাসকে আটকানো যায় না। মানুষের আবেগকে আটকানো যায় না। মানুষের আবেগ দুর্গা উৎসব নিয়ে আছে। মানুষের আবেগ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিয়ে আছে। দু চারটে খুচরো খাচরা কে কী করল কোথায় সেফ জোনে কে কী করল তাতে কিছু এসে যায় না। বাংলার মানুষ সব উত্তর দিয়ে দেবে। যারা পুজো বন্ধ করতে এসেছিল তারা পারেনি। তারা তো ঠাকুরের কাছে পড়েই ছিল যেন বৃষ্টি হয় বৃষ্টি হয়।
কল্যাণ বলেন, পুজো যেন ভেসে যায়। যারা বলেছিল উৎসবে ফিরব না তাকেও তো দেখছি গালে সিঁদুর মেখে বরের পাশে। কত আর ন্যাকামি দেখব। অর্ধেক তো চলে গেছে ফরেনে। অভিনেত্রী হিসাবে যাব, টাকা কামাব চলে আসব। এদের ন্যাকাপনার আর শেষ নেই। বামেরা যা ধুনো দিয়েছে। ওরা তো বিশ্বাসই করে না মা দুর্গাকে। দেখবেন ওরা পুজোর সময় ঠিক স্টল দেয়।
অনশন নিয়ে তিনি বলেন, কীসের অনশন। এখন তো অনশন হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি পর্যন্ত। আমরণ অনশন তো নয়। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে দেখলাম একজন অনশন শুরু করেছে। বিকালেই চলে গেল হাসপাতালে। ওরা মানুষের সেবা করতে আসেনি। নিজেদের ব্যাপারটা গুছিয়ে নিতে এসেছে। গ্রামের মানুষের কাছে যান না তাঁরা বুঝিয়ে দেবেন। ওই ধর্মতলায় সেফ জোনে অনেক কিছু বলা যায়। ৫০টা ক্যামেরা নিয়ে যা কিছু বলা যায়। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেও তো একটা মামলা করতে পারত। আসলে ডাক্তার যে ছেলেগুলো করছে এরা বাচ্চা ছেলে, এদের মাথাগুলো খাচ্ছে বুড়ো মাথাগুলো। কিছু সিনিয়র ডাক্তার আছে, মাকু পার্টি আছে। বলছে সবাই আসতে পারে, রাজনৈতিক নেতারা আসতে পারবে না। নেতারা এলে চিহ্নিত হয়ে যাবে। কত রগড় দেখব। মানুষ এদের কাউন্টই করছে না। …এরা ডাক্তার হওয়ার অযোগ্য। ডাক্তাররাও মানুষদের খ্য়াপাচ্ছে…বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ।