তৃণমূলের ওপর বিজেপির হামলা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগের তদন্তভার সিবিআইকে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০২০ সালে প্রাক্তন জামাই কবিরশংকর বোসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। চার বছর পর সেই ঘটনার তদন্তভার গেল সিবিআইয়ের হাতে। সেই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করে কবিরশংকর বোসের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু রাজ্য পুলিশ। ওই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী কবিরশংকর।
২০২০ সালে শ্রীরামপুরে এক রাজনৈতিক প্রচারে কবিরশংকর বসু তৃণমূল কর্মীদের মারধর ও মহিলা কর্মীদের ওপর হামলা করেছেন বলে পুলিশে অভিযোগ করেন স্থানীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ওদিকে FIR খারিজের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন কবিরশংকর। সেই মামলায় বিচারপতি বিভি নাগরত্ন ও বিচারপতি পঙ্কজ মিথালের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার রায় দিয়েছে, কবিরশংকরের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। পর্যবেক্ষণে বিচারপতিরা জানিয়েছেন, ‘কবিরশংকর বোসের সঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে। তাঁদের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দিতাও রয়েছে। তাই এই মামলায় রাজ্যের তদন্তে আস্থা রাখা যায় না। সিবিআইকে তদন্তভার হস্তান্তর করতে হবে।’ রাজ্য পুলিশকে এই মামলার সমস্ত নথি সিবিআইকে হস্তান্তর করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যা প্রমিতির সঙ্গে ২০১০ সালে বিয়ে হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কবিরশংকরের। ২০১৭ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে কল্যাণবাবুর বিরুদ্ধে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দিতা করে পরাজিত হন কবিরশংকর। ২০২৪ সালে ফের প্রাক্তন শ্বশুরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দিতা করেন তিনি। কিন্তু ফল হয় একই। রাজনীতির ময়দানে কল্যাণবাবুর কাছে পর্যুদস্ত হলেও আইনি লড়াইয়ে তাঁকে হারিয়ে দিলেন কবিরশংকর।