এখনও পর্যন্ত যা হিসাব তাতে পাঁচটি অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙারু উদ্ধার হয়েছে উত্তরবঙ্গ থেকে। প্রথমে বারবিশা। তারপর শিলিগুড়ি। কিন্তু এই ক্যাঙারু পাচারের নেপথ্যে বড় চক্রে কারা আছে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে তদন্ত কমিটি গড়ে তোলা হয়েছে। বারবিশায় গ্রেফতার হলেও মূল পাণ্ডা এখনও অধরা। তাই এই ক্যাঙারু রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে বন দফতর।
ঠিক কী বলেছেন বনমন্ত্রী? এই অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙারু শিলিগুড়ি হয়ে নেপাল এবং বাংলাদেশে পাঠানোর ছক ছিল। এমনকী চিনে পাঠানোরও ছক কষা হয়েছিল বলে খবর। এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। তিনি বলেন, ‘একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। এর পিছনে যারা জড়িত তাদের ধরা হবে। ক্যাঙারু রহস্য উদঘাটন হবেই। ধরা হবে মূলচক্রীকে। আর তারা আইন অনুযায়ী শাস্তি পাবে।’
কোথা থেকে ক্যাঙারু এসেছে এবং পাচার হতো? বন দফতর সূত্রে খবর, মিজোরাম থেকে অবৈধ পথে ক্যাঙারু এখানে এসেছিল। বারোবিশায় উদ্ধার হওয়া ক্যাঙারু সেখান থেকেই এসেছে। তারপর তা নেপালে পাচারের ছক ছিল। এমনকী বাংলাদেশ ও চিনে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের। ইতিমধ্যেই বৈকুন্ঠপুর ডিভিশনের বন দফতরের কর্তারা বারোবিশাতেও যোগাযোগ করেছেন। আর পাচার চক্রে জড়িতদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ১ এপ্রিল ক্যাঙারু পাচারের খবর আসছে। উত্তরবঙ্গ দিয়ে পাচার সহজ বলেই সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ক্যাঙারু। উদ্ধার হওয়া ক্যাঙারুগুলিকে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারিতে রাখা হয়েছে। এখান থেকে কলকাতায় আলিপুর চিড়িয়াখানায় আনা হতে পারে ক্যাঙারুগুলিকে। এখন কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রেখে তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।