কলকাতার একটি প্রেক্ষাগৃহে উইকএন্ডে 'কান্তারা: চ্যাপ্টার ওয়ান'-এর একটি বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হলো। এই অনুষ্ঠানে বহু সংখ্যক সিনেমা অনুরাগীরা উপস্থিত ছিলেন। ঋষভ শেট্টি পরিচালিত এই ছবিটি ২০২২ সালের ব্লকবাস্টার 'কান্তারা'-এর প্রিক্যুয়েল, যা গোটা ভারতে এক সাংস্কৃতিক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
আগের ছবিটির মতোই, সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রটি পুরাণ, আবেগ এবং অত্যাশ্চর্য ভিজ্যুয়ালের এক শক্তিশালী মিশ্রণ, যা মূল সিনেমায় প্রদর্শিত রহস্যময় পৃথিবীর উৎসকে তুলে ধরে। শ্বাসরুদ্ধকর সিনেমাটোগ্রাফি, তীব্র ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এবং মর্মস্পর্শী অভিনয় দিয়ে, 'কান্তারা: চ্যাপ্টার ওয়ান' সফলভাবে সেই লোককথা ও আধ্যাত্মিক সারমর্মকে আরও গভীর করেছে যা এর পূর্বসূরিকে এত বিশেষ করে তুলেছিল। সমালোচকরা মন্তব্য করেছেন যে ছবিটির আখ্যান ধীর গতিতে শুরু হলেও, দ্বিতীয়ার্ধে এটি এক শক্তিশালী আবেগিক প্রভাব এবং একটি স্মরণীয় ক্লাইম্যাক্স প্রদান করে।
প্রথম 'কান্তারা' চলচ্চিত্রটি সমালোচক এবং বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছিল। স্বল্প বাজেটে নির্মিত হয়েও, এটি বিশ্বব্যাপী ৪০০ কোটি টাকারও বেশি আয় করে এবং 'সেরা জনপ্রিয় চলচ্চিত্র যা সম্পূর্ণ বিনোদন সরবরাহ করে' এবং ঋষভ শেট্টির জন্য ‘সেরা অভিনেতা’-সহ একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতে। উপকূলীয় কর্ণাটকের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং এর গভীর-মূল সাংস্কৃতিক গল্প বলার ধরণ তুলে ধরার জন্য ছবিটি প্রশংসিত হয়েছিল।
কলকাতার জেন-জি দর্শক বিশেষ প্রদর্শনীতে দারুণ উৎসাহের সঙ্গে সাড়া দিয়েছেন। দর্শকরা অভিনয়, সঙ্গীত এবং পরিচালনার প্রশংসা করে এটিকে ‘একটি দৃষ্টিনন্দন এবং আধ্যাত্মিকভাবে মন ছুঁয়ে যাওয়া অভিজ্ঞতা’ বলে অভিহিত করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া ইতিবাচক রিভিউয়ে ভরে গিয়েছে। অনেকে এটিকে ‘কান্তারা ঐতিহ্যের এক শক্তিশালী ধারাবাহিকতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।