HT বাংলা থেকে সেরা খবর পড়ার জন্য ‘অনুমতি’ বিকল্প বেছে নিন
বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > খাস কলকাতায় ধরা পড়ল চোর, কেমন করে তাকে গণধোলাই থেকে বাঁচালেন চিকিৎসক?

খাস কলকাতায় ধরা পড়ল চোর, কেমন করে তাকে গণধোলাই থেকে বাঁচালেন চিকিৎসক?

কলকাতা মেডিক‌্যাল কলেজের ব্রেস্ট এন্ডোক্রাইন বিভাগের প্রধান ডা. ধৃতিমান মৈত্র। তিনিই চোর ধরেছেন। রবিবার রাতে বিদ‌্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় ওই এলাকায়। তাতে গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন চিকিৎসক। ওই অবস্থায় জানালা খুলে বসেছিলেন চিকিৎসক। তখনই তাঁর নজরে পড়ে গুটি গুটি পায়ে পাশের বাড়িতে একজন ঢুকছে।

চোর ধরা পড়ে গিয়েছে।

বাড়িতে চোর ঢুকেছে। রাতের অন্ধকারে চুরিও করেছে। কিন্তু পালাবার আগে সেই চোর ধরা পড়ে গিয়েছে। সুতরাং গণধোলাই তার প্রাপ্য। এমনই মনে করেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই তাঁরা খবর পেয়ে একেবারে প্রস্তুত হয়ে এসেছেন চোরকে পথেই বুঝে নেওয়ার জন্য। তখন টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পাড়ায়। শার্টের হাতা গুটিয়ে সবাই প্রস্তুত। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই চোর ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছে। আর ওই চিকিৎসককেই কাকুতি–মিনতি করছে। এই দৃশ্য কলকাতা শহরে বিরল। আগে কখনও ঘটেছে কিনা তা কেউ মনে করতে পারছেন না।

তখন চিকিৎসক কী করলেন?‌ এই চিকিৎসকই বমাল ধরেছেন চোরকে। আর পাড়া– প্রতিবেশীকে খবর দিয়েছেন। একইসঙ্গে খবর দিয়েছেন স্থানীয় থানাতে। ততক্ষণে এলাকার মানুষ তেতে উঠেছেন। চোরকে গণধোলাই দিতে সবাই প্রস্তুত। কিন্তু দেখা গেল, চোরের অনুরোধে সাড়া দিলেন চিকিৎসক। রাতভর ওই চোরকে পাহারা দিলেন চিকিৎসক। যাতে এলাকার মানুষজন ওই চোরকে গণধোলাই না দেয়। আইন কেউ হাতে তুলে নিন এটা চাননি ওই চিকিৎসক। তাই গণধোলাইয়ের হাত থেকে বাঁচিয়ে চোরকে তুলে দিলেন কসবা থানার হাতে। দক্ষিণ কলকাতার কসবা এলাকার এই ঘটনা এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে।

ঠিক কী ঘটেছে কসবায়?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, কলকাতা মেডিক‌্যাল কলেজের ব্রেস্ট এন্ডোক্রাইন বিভাগের প্রধান ডা. ধৃতিমান মৈত্র। তিনিই চোর ধরেছেন। তাঁর পাশের বাড়ি থেকে। রবিবার রাতে বিদ‌্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় ওই এলাকায়। তাতে গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন চিকিৎসক। ওই অবস্থায় জানালা খুলে বসেছিলেন চিকিৎসক। প্রকৃতির হাওয়ার উপর নির্ভর করছিলেন। তখনই তাঁর নজরে পড়ে গুটি গুটি পায়ে পাশের বাড়িতে একজন ঢুকছে। এটা দেখেই তিনি তৎপর হয়ে ওঠেন এবং বমাল ধরে ফেলেন চোরকে।

ঠিক কী বলছেন চিকিৎসক?‌ এলাকায় চোর ধরে তিনি চিকিৎসক থেকে এখন হিরো বনে গিয়েছেন। তবে ডা. ধৃতিমান মৈত্র সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ওটা আমারই মাসির বাড়ি। মাসিরা ইংল‌্যান্ডে থাকেন। বাড়ি ফাঁকা। সেখানেই অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে চুরি করতে ঢুকেছিল চোর। আর তাকে ধরতেই চেঁচামিচিতে পাড়ার লোকজন জড়ো হয়ে যায়। চোরকে তখন গণধোলাই দিতে তৈরি সবাই। তবে তা হয়নি। পুলিশ না আসা পর্যন্ত আমি চোর পাহারা দিই। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক কাজ নয়। গণধোলাইয়ে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটতে পারে বুঝেই পাহারা দিতে হয়। পুলিশ এলে তাদের হাতে তুলে দিই চোরকে।’‌

বাংলার মুখ খবর

Latest News

'ভেবেছিলাম সমস্যা হবে...', সপ্তর্ষিকে বিয়ে করার অনুমতি সোহিনীকে কে প্রথম দেন? বাংলায় নতুন আটটি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন, চিকিৎসা জগতে বড় সুখবর তোমাকে প্রার্থী করতে পারলাম না, বরাহনগরের কাউন্সিলরকে ফোন মমতার কংগ্রেস থেকে মোদী শিবিরে গোবিন্দা, শিবসেনায় যোগ দিলেন অভিনেতা, লড়তে পারেন ভোটে এই শনি-রবিবার খোলা থাকছে বেশ কিছু ব্যাঙ্ক! দেখুন তালিকা দক্ষিণে আসন সমঝোতা নিয়ে জোর চেষ্টা করছে সিপিএম, কংগ্রেসের দাবি বাড়ছে 'কত কী সয়ে যেতে হয়...',ভালোবাসায় সিলমোহর! শোভনের বুকে মাথা রাখলেন সোহিনী কংগ্রেসে যোগদান করে INDIA জোটকে সমর্থন করলেন অজয় এডওয়ার্ড লাইমলাইট থেকে দূরে থাকেন, জানেন এখন কোথায় আছেন অক্ষয় খান্না, কী করেন তিনি শক্তিশালী সৈন্যরাই সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষায় বসে- MI প্লেয়ারদের তাতালেন হার্দিক

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.