কসবা এলাকার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে কঙ্কাল, সংস্কারের কাজ করতে গিয়ে আলোড়ন

পুলিশ নরকঙ্কালটি উদ্ধার করে গোটা বাড়ি পরিদর্শন করেন। এখন আপাতত নির্মাণ কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে এই ঘটনার কিনারা করতে তদন্তকারীরা কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন। এই বাড়ি সম্পর্কে জানতে শুরু করেছেন পুলিশ অফিসাররা এবং তথ্য জোগাড় করছেন। আগে কারা থাকতেন?‌ এখন এখানে ঠিক কাদের আনাগোনা রয়েছে?‌

এবার খাস কলকাতায় উদ্ধার হল সম্পূর্ণ নরকঙ্কাল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার ভরদুপুরে কসবার কমলা পার্ক এলাকায় এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। স্থানীয় সূত্রে খবর, কসবা এলাকার একটি পুরনো বাড়ি সংস্কারের কাজ চলছিল। তখন এই নরকঙ্কালটি দেখতে পাওয়া যায়। পুরনো বাড়ি সংস্কারের কাজ করতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটবে তা কেউ কল্পনাও করেননি। এই কঙ্কালটি পুরুষ নাকি মহিলার সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নরকঙ্কালটি উদ্ধার করেছে।

ওই নরকঙ্কালটি উদ্ধার করার পর তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কেমন করে এই ভগ্নপ্রায় বাড়িতে উদ্ধার হল নরকঙ্কাল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কসবার কমলা পার্কের ওই বাড়ি দীর্ঘদিনের পুরনো। ওই বাড়িটিতে এখন কেউ বসবাস করেন না। তবে সেখানেই চলছিল সংস্কারের কিছু কাজ। আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে সংস্কারের কাজ চলার সময় একটি ঘর দেখে আঁতকে ওঠেন নির্মাণ কর্মীরা। তাঁরা দেখতে পান, ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে সম্পূর্ণ একটি নরকঙ্কাল। তাহলে কি এখানে কেউ খুন হয়েছিল?‌ রাতের অন্ধকারে কেউ খুন করে ফেলে রেখে গেল?‌ এই সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুলিশের মধ্যেই।

পুলিশ নরকঙ্কালটি উদ্ধার করে গোটা বাড়ি পরিদর্শন করেন। এখন আপাতত নির্মাণ কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে এই ঘটনার কিনারা করতে তদন্তকারীরা কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন। এই বাড়ি সম্পর্কে জানতে শুরু করেছেন পুলিশ অফিসাররা এবং তথ্য জোগাড় করছেন। আগে কারা থাকতেন?‌ এখন এখানে ঠিক কাদের আনাগোনা রয়েছে?‌ বাড়িটি সংস্কার করা হচ্ছে কেন?‌ কার নির্দেশে সংস্কার করা হচ্ছে?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশও স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন।

এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের মাঠ থেকে উদ্ধার হল কঙ্কাল। এই এলাকার এক বাসিন্দা কিছুদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। সম্ভবত এই কঙ্কালটি তাঁর বলেই অনুমান। ইতিমধ্যেই আজ,বৃহস্পতিবার কঙ্কালটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। জগৎবল্লভপুরের মাজু এলাকার বাসিন্দা ব্রজনন্দ গোস্বামী (‌৬৫)‌। তিনি ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন। গত কদিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে নানা জায়গায় খোঁজখবর নেওয়া হলেও কোনও লাভ হয়নি। খোঁজ মেলেনি বৃদ্ধের। পরিবারের সদস্যরা তখন জগৎবল্লভপুর থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করেন। ফিঙেগাছি এলাকায় একটি গ্যাস ফ্যাক্টরির পিছনে খোলা মাঠে একব্যক্তি কাজে গিয়ে দেখতে পান কঙ্কালটি।