অবশেষে জানা গেল মৃত্যুর কারণ। গলায় ফাঁস লেগেই মৃত্যু হয়েছে বিজেপি যুবনেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার। এমনকী ঝুলন্ত অবস্থায় পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত দেহে প্রাণ ছিল। কলকাতা হাইকোর্টে বিজেপি যুব নেতার ময়নাতদন্তের এই রিপোর্টই পেশ করল আলিপুর ইস্টার্ন কম্যান্ড হাসপাতাল। আজ, মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে কমান্ড হাসপাতাল থেকে তিনজন অফিসার আদালতে আসেন।
ঠিক কী ঘটেছে আদালতে? আজ বিজেপি যুব নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় আদালতে জমা পড়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট–সহ অন্যান্য নমুনা, নথি এবং তথ্য রাজ্যের তদন্তকারীদের হস্তান্তরের নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিজেপি যুবনেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন এক আইনজীবী। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়াটি ঠিক করে দেয় আদালত। তারই রিপোর্ট আজ জমা পড়ল।
হাসপাতাল ঠিক কী জানাচ্ছে? কমান্ড হাসপাতাল সূত্রে খবর, শনিবার মৃত নেতার ময়নাতদন্ত হয়েছে। তিন সদস্যের টিম এই ময়নাতদন্ত করেছে। ময়নাতদন্তে আরজি কর এবং কল্যাণী হাসপাতালের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি ময়নাতদন্ত হয়। আর কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী বলেন, ‘থানা থেকে বারবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং অন্যান্য নমুনা চাওয়া হচ্ছে। শীর্ষ পুলিশকর্তারা ফোন করে তথ্য চাইছেন।’
কমান্ড হাসপাতালের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখেছেন বিচারপতি। তারপরই রাজ্যকে আপাতত অর্জুনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও এখনও সিবিআই তদন্তের দাবিতেই অনড় অর্জুনের পরিবার বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। সুতরাং রাজনৈতিক চাপানউতোর থামল মনে করা হচ্ছে।