মাদ্রাসায় পড়ুয়াদের জাতীয় সংগীত গাওয়ানোয় ইসলামি চরমপন্থীদের হাতে খুন হতে বসেছিলেন তিনি। সেই কাজি মাসুম আখতারকে এবার পদ্মশ্রী দিতে চলেছে ভারত সরকার। শনিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে পদ্মশ্রীপ্রাপকদের তালিকায় রয়েছে কাজি মাসুম আখতারের নাম।
বরাবরই মুক্তমনা শিক্ষক মাসুম আখতার। ছাত্রদের তেমনভাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। দেশের স্পন্দন অনুভব করাতে তাই মাদ্রাসার ছাত্রদের গাইয়েছিলেন জাতীয় সংগীত। সেটা ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ। মাদ্রাসার প্রার্থনাসভায় ছাত্রদের জাতীয় সংগীত গাইয়েছিলেন তিনি। তখন কলকাতা লাগোয়া মেটিয়াবুরুজের সরকার পোষিত এক মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ছিলেন মাসুম।
ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে তাঁর এই উদ্যোগ মোটেও ভাল লাগেনি স্থানীয় কিছু চরমপন্থী মৌলবির। মাসুম আখতারের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করে তারা। যার ফলে হামলার মুখে পড়তে হয় মাসুম সাহেবকে। রড দিয়ে মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হয় তাঁর মাথা। ঝরতে থাকে রক্ত।
ঘটনার জেরে ২০১৬য় মাসুম আখতারকে বদলি করা হয় কাটজুনগর স্কুলে। তিন বছরে সেই স্কুলেরও ভোল বদলে দিয়েছেন তিনি। প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে পদ্মশ্রী শিক্ষককে নিয়ে গর্বের শেষ নেই স্কুলটির। ব্যান্ডের তালে আজ তাঁকে বরণ করে নেয় ছাত্ররা।
সমাজের গোঁড়ামির বিরুদ্ধে বরাবর সরব এই শিক্ষক। বাল্যবিবাহ ও তাৎক্ষণিক তিন তালাকের বিরুদ্ধেও সোচ্চার ছিলেন তিনি।