গত এপ্রিলে বয়সজনিত কারণে সিপিএমের পলিটব্যুরো থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিমান বসু। কিন্তু দল তাঁকে পুরোপুরি ছাড়তে রাজি হচ্ছে না। এবার সিপিএমের রাজ্য কমিটিতে আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে বিমান বসুকে রাখার দাবি উঠেছে। সম্প্রতি সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান থাকছেন বিমান বসুই।
গত বিধানসভা ভোটের পর কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে জোট নিয়ে বামফ্রন্টের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছিল। বিরোধিতা এমন একটা জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছিল যে ফরওয়ার্ড ব্লক বামফ্রন্ট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছিল। তখন নিজের দক্ষতায় সেই পরিস্থিতি সামলে নিয়েছিলেন বিমান বসু। বাম শরিকদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক সেরেছিলেন তিনি। বামফ্রন্ট যাতে অটুট থাকে, সেবিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন সদ্য ৮৩-তে পা দেওয়া এই রাজনীতিক।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান কে হবেন, সেনিয়ে যখন আলোচনা শুরু হয়, তখন বিমান বসুর বিকল্প হিসাবে কারও নামই জোরালো হিসাবে উঠে আসেনি। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ফ্রন্ট শরিকরাও বিমানবাবুকেই চেয়ারম্যান করা হোক বলে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। গত বুধবার সেই বিমানবাবুকেই ফ্রন্ট চেয়ারম্যান করার বিষয়ে সিলমোহর পড়ল সিপিএমের রাজ্য কমিটিতে। এবার দলের রাজ্য কমিটির সদস্যরাই চান, বিমানবাবু সিপিএমের রাজ্য কমিটির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে থাকুন। উল্লেখ্য, এখন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে রয়েছেন বিমান বসু।
গত এপ্রিলে কেরালার কান্নুরে যখন পার্টি কংগ্রেস বসেছিল, তখন বয়সজনিত কারণে পলিটব্যুরো থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন বিমানবাবু। কিন্তু বয়স যে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার ক্ষেত্রে কোনও ফ্যাক্টর নয়, সেকথা পরবর্তী সময়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি নিজেই। এই বয়সেও রাজ্যের নানা প্রান্তে মিটিং মিছিলে ছুটে যাচ্ছেন বিমানবাবু। গত ৬ জুলাই চিনারপার্ক ও রাজারহাটে জ্যোতি বসু সেন্টার ফর স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহেও নামতে দেথা যায় তাঁকে। তিনি যে এখনও রাজনীতির ময়দানে যথেষ্টই সক্রিয় তা তাঁর কর্মকাণ্ডেই প্রকাশ পেয়েছে।