তাঁর সঙ্গিনীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। অস্বস্তি এড়াতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল ও মন্ত্রিসভা থেকে ঝেড়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছে তৃণমূল। উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে পথে - ঘাটে - সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে নানা টিপ্পনি। তৃণমূল বিধায়কের তেমনই মন্তব্য ঘিরে দলের অন্দরেই তৈরি হয়েছে চরম অস্বস্তি। কর্মীরা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য টাকা চাইতেই জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলে বসেন, ‘আমি কি পার্থ চ্যাটার্জি।’
পার্থর সঙ্গিনী অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার কোটি কোটি টাকার মালিক কে? এই নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। পার্থ ও অর্পিতা প্রকাশ্যে দাবি করেছেন ওই টাকা মালিক তারা নন। তাহলে কার টাকা যখের ধনের মতো আগলে রাখছিলেন পার্থ? এই নিয়ে পথে ঘাটে চলছে বিস্তর আলোচনা। ইতিমধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার শেষ হচ্ছে পার্থ ও অর্পিতার ইডি হেফাজতের মেয়াদ। ফলে ফের বুধবার তাঁদের আদালতে পেশ করবে ইডি। এর মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কীর্তি নিয়ে বেফাঁস বলে ফেললেন তৃণমূলেরই প্রবীণ বিধায়ক।
সেপ্টেম্বরে জলপাইগুড়িতে সম্প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে চলেছে তৃণমূল। মঙ্গলবার এই নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। ৩ ও ৪ সেপ্টেম্বর চিন্তামোহন স্কুলের মাঠে আয়োজন হবে এই খেলার। বাজেট ধরা হয়েছে ২ লক্ষ টাকা। এদিনের বৈঠকে দলের কর্মীরা বায়না ধরেন, এই খরচের অধিকাংশটাই বহন করতে হবে বিধায়ককে। আর বারবার এই অনুরোধের জেরে হঠাৎ বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলে ওঠেন, ‘এত টাকা কোথায় পাব? আমি কি পার্থ চ্যাটার্জি?’ সঙ্গে সঙ্গে বৈঠকে হাসির রোল ওঠে।
উদয়ন গুহ–অভিষেক বন্দোপাধ্যায় আলাদা বৈঠক, মন্ত্রী হচ্ছেন দিনহাটার বিধায়ক?
বিজেপির দাবি, তৃণমূলের আয়োজনে দেদার খরচ কোনও নতুন জিনিস নয়। দলীয় কর্মসূচি হোক বা মেলা - খেলা। দুহাতে দেদার খরচ করেন তৃণমূল নেতারা। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পরিণতি দেখে অনেকেই সমঝে গিয়েছেন। থাকলেও তাই আর খরচ করতে চাইছেন না তাঁরা। তার ওপরে রাজ্যে ইডি আধিকারিকদের ১০০ জনের বিশেষ দল দিল্লি থেকে আসছে বলে খবর ছড়িয়েছে। সব মিলিয়ে খরচাপাতির ব্যাপারে আপাতত বিশেষ সতর্ক তৃণমূল নেতারা। বিধায়কের মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেছেন দলের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ।