বুধবার কলকাতার SSKM হাসপাতালে হয়েছে গায়ক কেকে-র দেহের ময়নাতদন্ত। প্রাথমিক রিপোর্টে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন গায়কের মৃত্যুতে অস্বাভাবিক কিছু নেই। তবে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও পরিবার সূত্রে উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, সম্ভবত হৃদযন্ত্রের কোনও রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার সংগীত পরিবেশনের সময় মঞ্চে বারবার ক্লান্ত দেখাচ্ছিল কেকে-কে। অনুষ্ঠান শেষ করে সরাসরি হোটেলে ফিরে যান তিনি। সেখানেই সংজ্ঞা হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান। আর জ্ঞান ফেরেনি তাঁর। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, এই ধরণের মৃত্যু আগে থেকে কোনও জটিলতা না থাকলে সম্ভব নয়।
কেকের পরিবার সূত্রের খবর, কিছুদিন ধরে ঘাড়ের পিছনে ও তলপেটে ব্যাথা অনুভব করছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন গায়ক।
তবে বুধবার ময়নাতদন্তের পর কেকে হৃদযন্ত্রের রোগে ভুগছিলেন বলে মনে করছেন চিকিৎসকা। ময়নাতদন্তকারী এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, কেকের হৃদযন্ত্রের ধমনীগুলি অনেকটাই সংকুচিত অবস্থায় ছিল। যার জেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন তিনি। অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে প্রবল পরিশ্রমের হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় তাঁর হৃদযন্ত্র।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভারতবর্ষে ৪০ বছরের বেশি পুরুষদের মধ্যে ২০ শতাংশ হৃদরোগে আক্রান্ত। কিন্তু পরীক্ষা না করানোয় অনেকে সেকথা কোনও দিন জানতেই পারেন না। কেকে-র ক্ষেত্রে সম্ভবত তেমনই ঘটেছিল। ৫৩ বছরের কেকে কোনও দিন হৃদরোগ সনাক্ত করতে কোনও পরীক্ষা করিয়েছিলেন কি না তা অবশ্য জানা যায়নি।