চরম অব্যবস্থার মধ্যে নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠানের পরই গায়ক কেকে-র মৃত্যুতে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক বিতর্ক। একদিকে এই মৃত্যুর দায় ঝাড়ার মরিয়া চেষ্টা শুরু হয়েছে তৃণমূলের তরফে। পালটা শাসককেই দুষছে বিজেপি ও কংগ্রেস।
মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান সেরে হোটেলে পৌঁছে মৃত্যু হয় কেকের। অভিযোগ, ২,৭০০ আসনের নজরুল মঞ্চে কেকের অনুষ্ঠান দেখতে হাজির ছিলেন প্রায় ৭,৫০০ যুবা। যার ফলে দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মঞ্চের ভিতরে। এর জেরেই বিশ্বখ্যাত এই গায়কের মৃত্যু কি না তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
তবে কেকের মৃত্যুর সঙ্গে নজরুল মঞ্চের অব্যবস্থার যোগ মানতে রাজি নন দলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘গ্র্যান্ডের মত এমন একটি ফাইভ স্টার হোটেলে চিকিৎসক নেই? তাহলে কিসের ফাইভ স্টার? লাখ লাখ টাকা বিল করেন অথচ চিকিৎসক রাখতে পারেন না পয়সা দিয়ে?
কাছাকাছি এত হাসপাতাল থাকতে অত দূরে কি না নিয়ে গেলেই হচ্ছিল না? তার টিমের লোকেদের এই অদ্ভুত বুদ্ধি কে দিয়েছিল? সময়টাই এক্ষেত্রে মূল.. গোল্ডেন টাইম পেরিয়ে গেলে আর কিছু করার থাকে না..’
পালটা সোশ্যাল সাইটে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা লিখেছেন, ‘একজন অসাধারণ প্রতিভাবান সঙ্গীতশিল্পীকে একটি বন্ধ ঘরে দমবন্ধ করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজকদের গ্রেফতার করা উচিত। যদিও সেটা হবে না, কারণ এটা পশ্চিমবঙ্গ।’
সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘প্রোগ্রাম হলের ক্যাপাসিটি কত ছিল, আর কত মানুষ কে ফাইনালি এন্ট্রি দেওয়া হয়েছিলো? প্রোগ্রাম চলাকালীন AC কত টনের ছিলো; জমায়েত মানুষের পক্ষে সেটা পর্যাপ্ত ছিল কিনা? প্রোগ্রাম চলাকালীন প্রোগ্রাম হলের মধ্যে অক্সিজেন লেভেল কি ছিল? এগুলো খতিয়ে দেখা দরকার।’
কেকের মৃত্যুর তদন্ত দাবি করেছেন লোকসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি লিখেছেন, ‘গায়ক কেকে-র মর্মান্তিক মৃত্যুর উপযুক্ত তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত দাবি করি। অনুষ্ঠান চলাকালীন নজরুল মঞ্চের চরম অব্যবস্থা তাঁর মৃত্যুর কারণ হয়ে থাকতে পারে।’