বেশ কয়েক বছর ধরেই কলকাতা পুরসভার ৪ নম্বর বরোর অন্তর্গত ২২ নম্বর ওয়ার্ডে একচ্ছত্র আধিপত্য বিজেপির। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম যেই কটা স্থানে বিজেপি পায়ের তলার জমি শক্ত করতে সমর্থ হয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম হল কলকাতার বড়বাজার এলাকা। এই বড়বাজারের পোস্তা এলাকার এই ওয়ার্ডেই গত আড়াই দশক ধরে কাউন্সিলর পদে থেকেছেন বিজেপির মীনাদেবী পুরোহিত। এবারও ভোট গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ডে দেখা গেল যে এই ওয়ার্ডে তিনি এগিয়ে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত নিজের গড় ধরে রেখে এক হাজারেরও বেশি ভোটে তিনি জিতে যান সেখানে।
একসময়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অধীনে কলকাতার ডেপুটি মেয়র ছিলেন মীনাদেবী পুরোহিত। ভোটের দিন সেই মীনাদেবীর পোশাক ছেড়ার অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্য জুড়ে ঘাসফুল ঝড়ের আবহে বিজেপি এই ওয়ার্ড ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টা করে প্রথম থেকেই।
এই ওয়ার্ডে মীনাদেবী পুরোহিতের বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী করেছে শ্যামপ্রকাশ পুরোহিত। এই আসনে সিপিএম কোনও প্রার্থী দেয়নি। এই ওয়ার্ডে হিন্দিভাষীদের প্রভাব অনেক হওয়ায় গত আড়াই দশক ধরে এখানে জিতে এসেছে বিজেপি। এবারও মীনাদেবীর বাজি সেই হিন্দিভাষী ভোটাররা। ২০১৫ সালে এই ওয়ার্ডে ৭১.৮০ ভোট পেয়েছিলেন বিজেপির মীনাদেবী। এদিকে তৃণমূলের তরফেও ২০১৫ সালে এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন শ্যামপ্রকাশ পুরোহিত। সেবারে তিনি ভোট পেয়েছিলেন মাত্র ১৬.৪৩ ভোট।
এই ওয়ার্ডটি জোড়াসাঁকো বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই ওয়ার্ডের উত্তর দিকে রয়েছে হুগলী নদীর গা ঘেঁষা পোর্ট ট্রাস্ট রোড। পূর্ব দিকে রয়েছে কলাকার স্ট্রিট, জগমোহন স্ট্রিট। দক্ষিণে রয়েছে মহাত্মা গান্ধী রোড ও কটন স্ট্রিট।