রাজ্যের মোটর ভ্যানের সংখ্যা বাড়ছে। এই মোটর ভ্যানের সাহায্যে যাত্রী পরিবহণ থেকে শুরু করে মাল বহন সব কাজই করা হচ্ছে। কিন্তু, মোটর ভ্যানের ব্যবহারের ফলে পরিবেশও মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ। সাধারণত ডিজেল বা কাটাতেল এমনকী কেরোসিনেও মোটর ভ্যান চালানো হয়ে থাকে। এরফলে অন্যান্য ইঞ্জিনচালিত গাড়ির তুলনায় মোটর ভ্যান থেকে বেশি মাত্রায় দূষণ ছড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, মোটর ভ্যান থেকে নির্গত ধোঁয়ার ফলে চোখ, নাক জ্বালা করে। এরফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবার এই দূষণ রোধে মোটর চালিত ভ্যান বন্ধের জন্য পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে বলল পুরসভা।
আরও পড়ুন: দূষণে দমবন্ধ দিল্লির, ৫০ শতাংশ রাজ্য সরকারি কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজের নির্দেশ
সোমবার পুরভবনে একটি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার আধিকারিকরা। এছাড়াও ছিলেন, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র ও অন্যান্য আধিকারিকরা। কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্যের পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত, মোটর ভ্যান থেকে শুধু যে বেশি মাত্রায় দূষণ ছড়ায় তা নয়। স্থানীয় ভাবে জোড়াতালি দিয়ে তৈরি হওয়ায় মোটর ভ্যানে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বেশি থাকে। কারণ এই ভ্যানের ব্রেক বা অন্যান্য ব্যবস্থা সাধারণ মোটরগাড়ির মতো উন্নত নয়। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। আর সেই সঙ্গে রয়েছে দূষণের সমস্যা।
জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে মোটর ভ্যান বন্ধের পাশাপাশি অবৈধ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধেও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছ। পাশাপাশি পুলিশকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণত শীতের বাতাসে ধূলিকণা বৃদ্ধি পাওয়ায় মারাত্মকভাবে দূষণ বৃদ্ধি পেয়ে যায়। এই অবস্থায় দূষণ রোধে স্প্রিঙ্কলারের মাধ্যমে জল স্প্রে করে থাকে পুরসভা। এবারও এর মাধ্যমে জল ছিটানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে । এর পাশাপাশি দূষণ রোধে কাঠ কয়লার জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কাঠ কয়লার ব্যবহার বন্ধে উৎসাহিত করতে পুরসভার তরফে এদিন ১৬ জনকে পরিবেশবান্ধব চুল্লি দেওয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে দেড় হাজার জনকে পরিবেশবান্ধব চুল্লি দেওয়া হবে। এছাড়াও ভাঙা আবর্জনা ফেলা রুখতে পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশকেও এ বিশেষ সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়াও ধাপার বিভিন্ন ভ্যাটে থেকে আগুন লাগার ফলে পরিবেশ দূষণ হয়। তাই সেখানে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।