বায়ুদূষণ দেশের একটি বড় সমস্যা। সেটা বাংলাতেও ভালরকম আছে। এই আবহে এবার প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে তৎপর হলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আর তাই ধাপার বায়ো–সিএনজি প্ল্যান্ট সম্প্রসারণ করার ঘোষণা করলেন মেয়র। ধাপায় এখন জঞ্জাল থেকে বায়ো সিএনজি গ্যাস উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে। তবে গোটা প্রক্রিয়াটি আছে পরীক্ষামূলকভাবে। এবার সেটাকে আরও বড় আকারে নিয়ে আসতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। তার জন্য একটি বায়ো সিএনজি প্ল্যান্ট বানানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। এটা করতে পারলে একদিকে দূষণ অনেকটা কমবে। অপরদিকে প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন বাড়বে।
এদিকে শীতের ভাব পড়েছে বঙ্গে। পুরোপুরি শীত না পড়লেও শহরের মানুষজন শীতের আমেজ টের পাচ্ছেন। বিশেষ করে একদম সকালে এবং রাতের দিকে। আর শীতকালে বাতাসে দূষণ বাড়ে। তাই বায়ুদূষণ কমাতে বিকল্প পথ ভাবতেই হয়েছে। তাই বুধবার কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদের বৈঠকের পর বায়ো সিএনজি প্ল্যান্ট বানানোর কথা জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ২০২২ সালে ধাপায় যে বায়ো সিএনজি প্ল্যান্টের উদ্বোধন করা হয়েছিল সেখানে দৈনিক ১৬০ কিলোগ্রাম গ্যাস তৈরি হচ্ছে। যা দিয়ে এত বড় শহরের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। তাই সেখানে বড় মাপের বায়ো সিএনজি প্ল্যান্ট গড়ে তুলতে চায় কলকাতা পুরসভা।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনের প্রাক্কালে পাহাড় সফরে মুখ্যমন্ত্রী, দার্জিলিংয়ে থাকছে একগুচ্ছ কর্মসূচি
অন্যদিকে ধাপায় গোটা প্ল্যাটটি কোথায় বসবে সেটা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। বায়ো গ্যাস বা প্রাকৃতিক গ্যাস তৈরির ক্ষমতা বাড়াতে সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। আর তা বৃদ্ধি করে কলকাতা পুরসভা শহরের যানবাহনকে প্রাকৃতিক গ্যাসে চালাতে চাইছে। সেক্ষেত্রে বায়ুদূষণ কমবে। এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে এখন বায়ো গ্যাস তৈরি হচ্ছিল। কলকাতা পুরসভার কয়েকটি গাড়িও সেই গ্যাসে চলছে। এখন মেয়র পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ধাপায় নয়া বায়ো গ্যাসের প্ল্যান্টের জন্য দ্রুত টেন্ডার ডাকা হবে। এটা হলে পরিবেশ রক্ষা হবে এবং আবর্জনার পাহাড় কমবে ধাপায়।’
এছাড়া কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, পচনশীল বর্জ্য দিয়ে দৈনিক পাঁচ টন বায়ো সিএনজি গ্যাস উৎপাদন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পচনশীল বর্জ্যের অভাবে গ্যাস উৎপাদনের লক্ষ্যে পৌঁছনো যায়নি। এখন শহরে সিএনজি গ্যাসের দাম প্রতি কেজি প্রায় ৭৯ টাকা। এটাকেই বড় আকারে উৎপাদন করা গেলে মানুষজনের উপর যাতায়াতের খরচ কমবে। পকেটে চাপ কমবে। পেট্রল–ডিডেলের দাম বেড়েই চলেছে। তাই যাতায়াতের খরচও বাড়ছে।