খোদ কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরকে ইঁদুরের যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে। আর তার জেরে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারছেন না। কারণ একজন কাউন্সিলরের এমন দশা হতে পারে সেটা চিন্তাও করা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে পড়ে ওই কাউন্সিলর সরাসরি যোগাযোগ করলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে ছোট লালবাড়িতে।
গতকাল শুক্রবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশন চলছিল। ইঁদুরের যন্ত্রণা থেকে কবে সুরাহা মিলবে? এই প্রশ্ন উঠে আসে। এই প্রশ্ন তুলে মেয়রের সাহায্য চান ওই কাউন্সিলর। মূষিক–যন্ত্রণায় কাতর আর্তনাদ দেখে অনেকে হেসে ফেলেন। কারণ কলকাতা পুরসভার ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর রূপক গঙ্গোপাধ্যায় মেয়রকে বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে প্রত্যেকদিন ইঁদুরের সংখ্যা বাড়ছে। মাননীয়, মহানাগরিক আমার ওয়ার্ডকে ইঁদুরের হাত থেকে রক্ষা করুন।’ এভাবেই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে আর্তি জানান কলকাতা পুরসভার ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার রূপক গঙ্গোপাধ্যায়। আতঙ্কিত কাউন্সিলরকে ইঁদুর দমনে কাচের গুড়ো প্রয়োগ করার পরামর্শ দেন মেয়র।
আরও পড়ুন: মন্দারমণির বৈভবপূর্ণ হোটেল থেকে তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, আর কে ছিল? ঘনাচ্ছে রহস্য
সে কথা শুনে খানিকটা চুপ করে গেলেও আবার বলতে থাকেন ওই কাউন্সিলর। রূপক গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ইঁদুর ফুটপাতে পাতা পেভার ব্লক তুলে ফেলছে। মাটি খুঁড়ে গর্ত করে দিচ্ছে। ক্যাচপিটের মধ্যেও গর্ত খুঁড়ে মাটি তুলে দিচ্ছে। পার্কেও ইঁদুরের দল তাণ্ডব শুরু করেছে। আর পুরনো বাড়ির ভিত নাড়িয়ে দিচ্ছে। ড্রেনের মুখে গর্ত করে দিচ্ছে। তা আবার করে সারাতে হচ্ছে। প্লাস্টিক ব্যাগ টেনে নিয়ে এসে ড্রেনের মুখ বন্ধ করে দিচ্ছে। ওয়ার্ড জুড়ে ইঁদুরের দল দাপাদাপি করছে। কলকাতা পুরসভার ভেক্ট্রর কন্ট্রোল রীতি অনুসারে ইঁদুর দমনের নিয়ম কী?
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান কাউন্সিলর রূপক গঙ্গোপাধ্যায়। মেয়র এই কথা শুনে রূপককে বলেন, ‘এই সমস্যা প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে আছে। গোটা কলকাতায় এই সমস্যা দেখা যায়। আমার বাড়িতেও ইঁদুর আছে। কাচের গুড়ো ছড়িয়ে দিন, ফল মিলবে।’ তার পরই মেয়র জানান, ইঁদুরের জন্য ঢাকুরিয়া ব্রিজ বিপদে পড়েছিল। ওখানে কাচের গুড়ো দিয়ে সাফল্য এসেছে। এইসব শুনে কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়ের কথায়, ‘আমার ওয়ার্ডে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের স্মৃতিসৌধ ইঁদুরের উপদ্রবে বিপদে পড়ে। ওখানেও কাচের গুড়ো ছড়িয়ে দেওয়ায় উৎপাত নেই।’