শতাব্দী প্রাচীন রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে জঞ্জাল পরিষ্কার বন্ধ করছে কলকাতা পুরসভা। প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সেখান থেকে জঞ্জাল পরিষ্কার করা হচ্ছে না। যার ফলে কলেজ চত্বরে জমছে আবর্জনার স্তূপ। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে পুরসভার সঙ্গে কথা বলেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে পুরসভার তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে প্রতিমাসে জঞ্জাল পরিষ্কারের জন্য ১৮ হাজার টাকা করে দিতে হবে। কিন্তু, সেই টাকা না দেওয়ায় জঞ্জাল পরিষ্কার করা হচ্ছে না বলে কলেজের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিকিমের আবর্জনা ফেলে যাওয়া হচ্ছে শিলিগুড়ি লাগোয়া ফাঁকা জমিতে? দাবি রিপোর্টে
এ বিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান সচিব অমিত রায় জানিয়েছেন, জঞ্জাল পরিষ্কার করার জন্য প্রতি মাসে ১৮,০০০ টাকা দাবি করার পর গত ১৩ নভেম্বর থেকে পুরসভা তরফে জঞ্জাল পরিষ্কার করা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগে পুরসভার তরফে এই জঞ্জাল পরিষ্কার করা হতো। সাধারণত কলেজের ফলিত পদার্থবিদ্যা বিভাগের কাছে জঞ্জাল জমা করা হয়ে থাকে। পুরসভা জঞ্জাল নিয়ে যেত। তবে এক মাস ধরে জঞ্জাল পরিষ্কার না করার ফলে কার্যত জায়গাটি আবর্জনার স্তূপে ভরে গিয়েছে। এমনকী রাস্তা পর্যন্ত চলে এসেছে আবর্জনার স্তুপ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজ্ঞান সচিব ডেপুটি মেয়র ঘোষ সহ পুরসভার অন্যান্য আধিকারিকদের কাছে জঞ্জাল পরিষ্কারের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তবে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, জঞ্জাল ক্যাম্পাস থেকে বাইরের কোনও ভ্যাটে ফেলে দিতে হবে। সেখান থেকেই পরিষ্কার করবে পুরসভা । কলেজের ভিতরে তারা আবর্জনা পরিষ্কার করবে না। এ বিষয়ে বিজ্ঞান সচিব জানান, সাধারণত কলেজের কাছে যে ভ্যাটগুলি রয়েছে সেটির মধ্যে একটি অবস্থিত রাজাবাজার ট্রাম ডিপোর কাছে এবং অন্যটি আমহার্স্ট স্ট্রিটে।
প্রসঙ্গত, রাজাবাজার সায়েন্স কলেজকে গ্রেড ওয়ান হেরিটেজ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কলকাতা পুরসভায় কলেজটিকে এই হেরিটেজের মর্যাদা দিয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন পুরসভার তরফে পরিষ্কার করা হচ্ছে না? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজ্ঞান সচিব। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, প্রতি মাসে এত টাকা দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, জঞ্জাল জমে যাওয়ার ফলে সেগুলি যেভাবে রাস্তায় চলে এসেছে তাতে হাঁটাচলা পর্যন্ত সমস্যা হচ্ছে।
যদিও রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে আবর্জনা পরিষ্কার বন্ধ হবে না বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) দেবব্রত মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন, দ্রুত আবর্জনা পরিষ্কার করার বিষয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। এর পাশাপাশি কর নেওয়া এবং মুকুব করার বিষয়টিও আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।