বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > কলকাতা পুরসভায় এবার প্রধান বিরোধী দল কারা? আইনের প্যাঁচে সবপক্ষই

কলকাতা পুরসভায় এবার প্রধান বিরোধী দল কারা? আইনের প্যাঁচে সবপক্ষই

পুরসভা নির্বাচনেও তৃণমূলের জয়জয়কার. (PTI Photo) (PTI)

২০১৫ সালে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ১১৪টি আসন। তখন বামেদের দখলে ছিল ১৫টি আসন, বিজেপি ৭ এবং কংগ্রেস ৫টি আসন।

এবার কলকাতা পুরসভায় বিরোধী দলনেতা কে?‌ নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে তিলোত্তমায়। এবারও কলকাতা পুরসভায় বিরোধী দলনেতা না থাকার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কারণ প্রাপ্ত আসনের অঙ্কে বাম–কংগ্রেস–বিজেপি— কেউই ন্যূনতম শর্ত স্পর্শ করতে পারেনি। তার জেরেই এই পদ শূন্য থাকার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

বিরোধী দলনেতা হতে গেলে ন্যূনতম শর্ত কী থাকে? পুরসভার আইন অনুযায়ী, কলকাতা পুরসভায় প্রধান বিরোধী দল হতে গেলে মোট আসনের ১০ শতাংশ জিততে হবে। অর্থাৎ ন্যূনতম ১৫টি আসন জিততে হবে। সেখানে কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে ১৩৪টি আসন। আর বিজেপি, তিনটি, বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস পেয়েছে দু’টি করে আসন। তাই ন্যূনতম শর্ত পূরণ হচ্ছে না। আর তিনজন নির্দল প্রার্থীও জিতেছেন। সুতরাং বিরোধী শূন্য পুরসভাই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ১১৪টি আসন। তখন বামেদের দখলে ছিল ১৫টি আসন, বিজেপি ৭ এবং কংগ্রেস ৫টি আসন। কিন্তু তখনও কলকাতা পুরসভা বিরোধী দলনেতা পায়নি। কারণ বামেরা সম্মিলিতভাবে ১৫টি আসন পেয়েছিল। একক কোনও দল পায়নি। সুতরাং তখনের মতো এবারও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তখন সিপিআইএম–১০টি, সিপিআই—২টি, ফরওয়ার্ড ব্লক—১টি এবং আরএসপি–২টি করে আসন পেয়েছিল। যদিও

যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করব। সরকারিভাবে হবে না। কারণ ছাপ্পা ভোটের ফলে উপযুক্ত সংখ্যা জোগাড় করা যায়নি। তবে আমরা আমাদের মতো বিরোধিতা করব। শুধু কলকাতা পুরসভা নয়, সর্বত্রই মানুষের স্বার্থে বিরোধিতা করব।’

বন্ধ করুন