রবিবারের পুরসভার ভোটকে কেন্দ্র করে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের দিনভর ব্যস্ত থাকতে দেখা গিয়েছে। ভোট উৎসবে রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা ব্যস্ত থাকবেন না, তা কি হতে পারে! তবে ভোটে সমস্ত নেতা-নেত্রীদের ভোট দিতে দেখা গেলেও কলকাতা পুরসভার আট বছরের মেয়ের পদে থাকা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গেল না। তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। যদিও শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'এবার ভোট দেওয়ার মত কোনও প্রার্থী নেই। কাকে ভোট দেব? নোটা দিয়েই বা কী হবে?'
৩৬ বছর ধরে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার। রবিবার যেখানে সকলেই পুরভোটকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সেখানে বাড়িতে বিশেষ মেনু 'চিকেন রেজালা' খেয়ে কাটালেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এর আগে বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি ১০ বছর ধরে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংসার করার সময় সেখানে কাটিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ফলে পুরনো ঠিকানাতেই রয়ে গিয়েছে তাঁর ভোটার কার্ড। এবার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী করা হয়েছে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে। তার সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা এখনও চলছে আদালতে। ভোট দিতে না যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি পছন্দের প্রার্থী না থাকার কথা জানিয়েছেন। যদিও প্রাক্তন মেয়রের এই কথা অবশ্য গুরুত্বহীন বলে মনে করছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'এসব কথার কোনও মানে নেই। মানুষ প্রার্থীকে ভোট দেয় না দলকে ভোট দেয়।'
অন্যদিকে, এবারের পুরভোটে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তি হয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। সেইসঙ্গে, এজেন্টকে বসতে না দেওয়া, কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। এই সমস্ত অভিযোগ তুলে পুনরায় নির্বাচনের জন্য বিরোধীরা দাবি জানালেও অবশ্য নির্বাচন কমিশন তাতে সায় দেয়নি। এ প্রসঙ্গে শোভন বলেন,' ২০১৫ সালের ভোটে এত ঝামেলা হয়নি। আমি এখন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না থাকায় নিজেকে দায়মুক্ত মনে হচ্ছে।'