কলকাতা পুরসভার চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। আর তারপরই কড়া পদক্ষেপ করল পুর–কর্তৃপক্ষ। এবার থেকে অনলাইনে জমা করতে হবে সম্পত্তির হিসেবনিকেশ। তবে এটা শুধুমাত্র কলকাতা পুরসভার কর্মীদের জন্য পদক্ষেপ করা হয়েছে। সম্পত্তির হিসাব এবার তাঁদের অনলাইনের মাধ্যমে জমা করতে হবে। আর এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সমস্ত কর্মীকে।
সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে নতুন নিয়ম তৈরি হয়েছে নিয়োগে। জেলাশাসকের মাধ্যমে এবার নিয়োগ হবে পুরসভায়। অয়ন শীল গ্রেফতার হতেই এই নিয়োগ দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসে। আর এখন বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাধ্যতামূলকভাবে সম্পত্তির হিসাব জমা করার কথা বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘অ্যানুয়াল কনফিডেনশিয়াল রিপোর্ট’–ও জমা করতে হবে নির্ধারিত সময়েই।
এদিকে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এতদিন চিরকুটে লিখে নিজেদের সম্পত্তির খতিয়ান পেশ করতেন পুরসভার কর্মীরা। তবে এই কাগজে পেশ করা সম্পত্তির খতিয়ানে তেমন গুরুত্ব দিতেন না দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরসভার আধিকারিকরা। সুতরাং কোন কর্মীর কত সম্পত্তি বাড়ল সেটা প্রকাশ্যে আসত না। এই পুরকর্মীদের দেওয়া নিজেদের সম্পত্তির হিসাবের খতিয়াত আলমারিতে ফাইলবন্দি হয়ে থাকত। কিন্তু এবার নিয়মে পরিবর্তন আনল পুরসভা কর্তৃপক্ষ। গোটা বিষয়টির উপর পুরসভার পক্ষ থেকে করা নজর রাখা হবে।
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে অনলাইনে সম্পত্তির খতিয়ান পেশের ব্যবস্থা চালু হলে যখন–তখন তা দেখা যাবে। আর অনলাইনে যা জানানো হচ্ছে সেটার উপর তদন্তও হতে পারে। ভুল তথ্য পেশ করলে শাস্তিও পেতে পারেন তাঁরা। এই পদক্ষেপ করার একটাই কারণ, যাতে কোনও পুরকর্মীর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির যদি সন্ধান পাওয়া যায় তাহলে দ্রুততার সঙ্গে সেই কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা যাবে। পুরকর্মীদের পদোন্নতির সময়ে দেখা হয়, বিগত বছরগুলিতে তিনি সময় মতো সম্পত্তির হিসেব দিয়েছেন কি না।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup