মেয়রের নম্বরে উপচে পড়ছে অভিযোগ, নিষ্পত্তিতে নয়া পদক্ষেপ কলকাতা পুরসভার
1 মিনিটে পড়ুন . Updated: 17 Mar 2022, 02:12 PM IST- পুরসভা সূত্রে খবর, প্রথমে অভিযোগগুলির ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট নাগরিককে ফোন করে তাদেঁর অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা হবে।
কলকাতার মানুষকে পুর পরিষেবা আরও ভালোভাবে দেওয়ার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরের মাধ্যমে নাগরিকরা তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা জানাতে পারছেন। এখন দেখা যাচ্ছে এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে দিনের পর দিন অভিযোগ বেড়েই চলেছে। তাই এই সমস্ত অভিযোগ দেওয়ার নিষ্পত্তি করতে তৎপর হয়েছেন মেয়র। যেভাবে অভিযোগ জমছে, তাতে মেয়রের গ্রিভ্যান্স সেলের পক্ষে একা এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। তাই যে সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে, সেই অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় আধিকারিকদের খোঁজখবর নিয়ে তার সুষ্ঠু সমাধান করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কলকাতার পুর কমিশনার।
পুরসভার এক আধিকারিকের কথায়, যদি জঞ্জাল সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ আসে, তাহলে সে বিষয়ে জঞ্জাল বিভাগের আধিকারিকরা খতিয়ে দেখবেন। একইভাবে জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র সংক্রান্ত যদি অভিযোগ থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। পুরসভা সূত্রে খবর, প্রথমে অভিযোগগুলির ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট নাগরিককে ফোন করে তাঁদের অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা হবে। এরপরে যদি সংশ্লিষ্ট নাগরিকের বাড়িতে গিয়ে সমস্যার সমাধানের প্রয়োজন হয় তাহলে তার বাড়িতে যাবেন পুরকর্মীরা। অভিযোগ নিয়ে ফোন করা থেকে শুরু করে অভিযোগের সমাধান এই সমস্ত বিষয় আধিকারিকদের লিপিবদ্ধ করে রাখতে বলেছেন পুর কমিশনার। যার ফলে নাগরিকদের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন পুর আধিকারিকদের একাংশ।
যদিও এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠকের মতে, ‘এখন পুরসভার আয় কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে ভাবা উচিত। কারণ পুরসভার সঞ্চয় এখন তলানিতে। তাছাড়া পুরসভার কর্মীদের পেনশন দেওয়া হচ্ছে না। সেই সমস্ত বিষয়গুলির উপর জোর দেওয়া প্রয়োজন।’ তবে মেয়রের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর যেভাবে জনসমক্ষে দেওয়া হয়েছে, সেটাকে বিজ্ঞাপন বলে মনে করছেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘মেয়রের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর জনসমক্ষে দেওয়া মানে বিজ্ঞাপন ছাড়া আর কিছু নয়।’