নতুন বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে চালু হতে চলেছে ‘কালীঘাট স্কাইওয়াক’। ২০২৫ সালে শহরের নাগরিকদের এটাই নতুন উপহার দিতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গতকাল কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই বিষয়ে অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আর কলকাতা পুরসভার সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, পুরসভার কমিশনার–সহ অন্যান্য অফিসার এবং হকার সংগঠনের সদস্যরা। আসলে এই স্কাইওয়াক চালু করতে গেলে হাজরা পার্ক হকার মুক্ত করতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। তাই এই বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এদিকে ‘কালীঘাট স্কাইওয়াক’ তৈরি করা নিয়ে আগে নানা জটিলতা দেখা দিয়েছিল। ওই জটিলতা কাটানো গিয়েছে। সম্প্রতি কালীঘাট চত্বর হকার মুক্ত করা হয়েছিল। তখন ওই হকাররাই এসে হাজরা পার্কে বসেছেন। কিন্তু এবার ‘কালীঘাট স্কাইওয়াক’ শেষের পথে। জানুয়ারি মাসে সব ঠিক থাকলে তা জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তাই তা সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে চালু হয়ে গেলে হাজরা পার্ক থেকে সরে যেতে হবে কালীঘাট থেকে উঠে আসা হকারদের। কারণ ‘কালীঘাট স্কাইওয়াক’ চত্বরেই আবার তৈরি হবে নতুন মার্কেট। সেখানে হাজরা পার্কে থাকা হকারদের পুনর্বাসন দেবে কলকাতা পুরসভা। এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আশা করা যায়, আগামী একমাসের মধ্যে কালীঘাট স্কাই ওয়াক চালু হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: শিল্প–কর্মসংস্থান নিয়ে সংসদে বিজেপিকে চেপে ধরল তৃণমূল, সামনে আনল নতুন স্লোগান
অন্যদিকে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ‘কালীঘাট স্কাইওয়াক’ তৈরি করতে অনেকটা সময় লেগেছে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর ‘কালীঘাট স্কাইওয়াক’ নির্মাণ করতে খরচ করেছে প্রায় ৮০ কোটি টাকা। এখানের সমস্ত হকারদের পুনর্বাসন দেওয়া হচ্ছে। আর হকারদের পক্ষ থেকে আরও একমাস সময় অতিরিক্ত চাওয়া হয়েছে। অফিসারদের রিপোর্ট দেখে মেয়র জানান, সব ঠিক থাকলে আগামী দু’মাসের মধ্যে হাজরা পার্কের সমস্ত হকারদের বৈধ তালিকা তৈরি করতে হবে। সেই তালিকা অনুযায়ী কালীঘাটে যে নতুন মার্কেট গড়ে তোলা হবে সেখানে তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে।
এছাড়া দু’মাস বলতে ডিসেম্বর এবং জানুয়ারিকে বুঝিয়েছেন মেয়র। ডিসেম্বর মাস চলছে। আর জানুয়ারি মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে ‘কালীঘাট স্কাইওয়াক’। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ শুরু হয়েছিল। দেড় বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। কারণ একদিকে করোনাভাইরাসের প্রভাব অপরদিকে ঠিকাদারি সংস্থার গাফিলতি। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর ধমকে এত দ্রুত কাজ চলতে থাকে যে, কালীপুজোতে এই স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করার কথা ওঠে। যদিও তা করা হয়নি। নতুন বছরে আমজনতা এবং হকারদের উপহার দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।