মাঝে আর একটা মাস। তারপরই শুরু হয়ে যাবে দুর্গাপুজো। তবে এই উৎসবের আগে যাতে রাজ্যে ডেঙ্গি দেখা না যায় তার জন্য উদ্যোগী হল কলকাতা পুরসভা। ডেঙ্গি এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণেই আছে। ভরা বর্ষাকালে এই ডেঙ্গির প্রকোপে মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রত্যেক বছর এই ডেঙ্গির প্রভাব বাংলায় বেড়েই চলে। তার জেরে মৃত্যুও হয় বহু মানুষের। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। এখন পুরোদমে বর্ষা এসে গিয়েছে বাংলায়। আর তা মিটতে না মিটতেই দুর্গাপুজো শুরু হয়ে যাবে। তার আগে ডেঙ্গি সংক্রমণে লাগাম টানতে আগাম সতর্কতা নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। শহর থেকে জেলা আগেভাগেই বৈঠক করা হয়েছে।
এদিকে এই ডেঙ্গি নিয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে কলকাতা পুরসভা নামিয়ে দিয়েছে প্রমীলা বাহিনীকে। তাঁরা আবাসনগুলিতে গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। জমা জল আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন। এমনকী বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করছেন। এই কাজ করে ইতিমধ্যেই সাফল্য মিলেছে। এখন শহরে অনেকটা কম ডেঙ্গি। নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে এই বছর। তবে আজ, শনিবার টানা দু’ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে মহানগরী কলকাতা। আর সেই জল জমার ছবি কন্ট্রোল রুম থেকে দেখেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং সেখান থেকে নির্দেশ দেন। যাতে তাড়াতাড়ি জল নেমে যায়। জমা জল থেকেই মশার উৎপত্তি। তা ঠেকাতেই উদ্যোগী হয়েছে কলকাতা পুরসভা।
আরও পড়ুন: ফিট বাসের আয়ু বাড়াতে চায় রাজ্য সরকার, এবার গ্রিন ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত
অন্যদিকে ডেঙ্গি নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে। আগাম যাতে চিহ্নিত করা যায় তার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। তবে ডেঙ্গি সংক্রমণে লাগাম টানতে এবার অভিনব পদ্ধতি নিয়ে আসছে কলকাতা পুরসভা। আজ, শনিবার সেই কথাটাই জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গি শনাক্তকরণে একটা নতুন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে শনাক্তকরণ কাজ শুরু হচ্ছে। এতে করে অনেক তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে যাবে আদৌ রোগী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত কিনা’।
এছাড়া শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা থেকে শুরু করে আবাসগুলির উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। কারণ এই আবাসনগুলিতেই ফ্রিজের এবং এসির জল জমে থাকে। যা পরিষ্কার করা হয় না। তা থেকেই ডেঙ্গির মশা জন্ম নেয়। আর ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মধ্যে। তাই সেখানে চালানো হচ্ছে বাড়তি নজরদারি। এবার থেকে কেউ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে যাতে দ্রুত সুস্থ করে তোলা যায় তার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে ভ্যাকসিনের। ডেঙ্গির ভ্যাকসিন চলে এলে কমবে আক্রান্তের সংখ্যাও। এটা জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।