কলকাতা পুরসভার খরচ বেড়েই চলেছে। নানা খাতে বিপুল পরিমাণ খরচ হচ্ছে। আর তার জেরে কোষাগারে ব্যাপক টান পড়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দেনা হতে শুরু করেছে পুরসভার। সেটার পরিমাণও বিপুল। কিন্তু কলকাতা পুরসভার আয় বাড়ছে না। বরং গত আর্থিক বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত কলকাতা পুরসভা নানা বিভাগ থেকে যে রাজস্ব আদায় করেছিল চলতি আর্থিক বছরে সেটার থেকে অনেকটা ঘাটতিতে চলছে। যা নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের।
এদিকে কলকাতা পুরসভার হিসাব বলছে, গত আর্থিক বছরের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষের অগস্ট মাস পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ১০৯ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা কম হয়েছে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সেই ঘাটতি একটু কমেছে। যার পরিমাণ ৭৮ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা। তবে সম্পত্তি কর আদায়ের ক্ষেত্রে আয় কমেছে বলে খবর। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই খাতে গত অর্থবর্ষের তুলনায় ১ কোটি ৬৫ টাকা কম আয় হয়েছে। যেখানে প্রত্যেক বছর ভাল মাত্রায় কলকাতা পুরসভার আয় বাড়ে সেখানে এখন ঘাটতি নিয়ে চলতে হচ্ছে। যা নিয়ে চিন্তিত মেয়র বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: নিজের বাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসালেন সিপিএমের সাসপেন্ডেড নেতা, তন্ময়ের নয়া পদক্ষেপ
অন্যদিকে এই আর্থিক ঘাটতির পরিস্থিতিতে আগামী ১৩ নভেম্বর জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই বৈঠকে ঠিক হবে কেমন করে রাজস্ব আদায় বাড়ানো যায়। পুরকর্তাদের একটা বড় অংশের দাবি, চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের জেরে প্রায় তিন মাস রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া যায়নি। তাই এমন ঘাটতি তৈরি হয়েছে কলকাতা পুরসভার কোষাগারে। এই আর্থিক বছরের শেষে দেখা যাবে, ঘাটতি মিটিয়ে আয় বৃদ্ধি করা গিয়েছে। সম্পত্তি কর থেকে শুরু করে বিল্ডিং, লাইসেন্স ফি, পার্কিং, জঞ্জাল সাফাই এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও অন্যান্য বিভাগ থেকে রাজস্ব আদায় করে কলকাতা পুরসভা।
এই বিভাগগুলি থেকে আয় কমেছে বলে সূত্রের খবর। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, গত অর্থবর্ষের ২০২৩–২৪ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১ হাজার ২৮৬ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা আদায় হয়েছিল। আর এখন চলতি অর্থবর্ষে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ১ হাজার ২০৮ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। সুতরাং একধাক্কায় ৭৮ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা আয় কম হয়েছে। এই কম রাজস্ব আদায় হওয়ায় চাপে পড়েছে কলকাতা পুরসভা। তবে গত অগস্ট মাসে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১০৯ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা। এই পরিস্থিতিতে এখন চাপ বেড়েছে কলকাতা পুরসভার কোষাগারে।