বেআইনি নির্মাণ নিয়ে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ পর্যন্ত দিয়ে রেখেছেন। তারপরেও আজ, শনিবার টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে শুনতে হল অভিযোগ। আর তারপরই কলকাতা পুরসভার ডিজি বিল্ডিংয়ের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অবৈধ নির্মাণ ভাঙা নিয়ে কলকাতা পুরসভার অফিসারদের উদাসীনতাকে কড়া ভাষায় বার্তা দেন মেয়র। এই বিল্ডিং বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আজ শনিবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে অবৈধ নির্মাণ না ভাঙা নিয়ে অভিযোগ আসে মেয়রের কাছে। অভিযোগ পেয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ হন মেয়র।
এদিকে অভিযোগ যিনি করেছেন তিনি ২০২২ সালে একটি ফ্ল্যাট বুক করেন। ৬৭ ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত ৩/১ আর কে চ্যাটার্জি রোডের সেই ফ্ল্যাট পরে বেআইনি হিসাবে সামনে আসে। ওই নির্মাণ নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ ওই নির্মানটি ভাঙার নির্দেশ পর্যন্ত দেন। কিন্তু বারবার নির্মাণ ভাঙার কথা বলা হলেও বেআইনি বারান্দা ভাঙা হয়নি বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ কানে আসতেই মেয়র ডিজি বিল্ডিংকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে নির্দেশ দেন। ডিজি জানান, আইন বিভাগ জানিয়েছে, লোয়ার কোর্টের পক্ষ থেকে নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ খণ্ডন করা হয়েছে। তাই ভাঙার কাজ করা যায়নি।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে মিষ্টি–ফল পাঠালেন রাজ্যপাল, পাল্টা রাজভবনে এল সন্দেশ, সময় কি সুখকর?
এই কথা শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন মেয়র। তারপরই ক্ষুব্ধ মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘মানুষ আমাদের ‘চোরপোরেশন’ এই জন্যই বলে। আপনি আইন জানেন না। আপনার অসুবিধাগুলি আমাকে জানাননি কেন? মানুষ আমাদের ‘চোরপোরেশন’ বলে। সেটা শুনতে ভাল লাগে! এই অযোগ্যতার কারণেই এসব আমাদের বলা হয়। মানুষের কাজ করতে গেলে অনিয়মিত হলে হয় না। দ্রুত কাজটি করে দিতে হয়। মানুষের কাছে পুরসভার সুনাম করতে হলে আগে কাজ করতে হবে। মানুষ পুরসভার কাছে কাজ চায়। যা পুর–পরিষেবা।’
মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে এমন রুদ্রমূর্তি ধরতে খুব কম দেখা যায়। মেয়রের ব্যবহার অত্যন্ত ভাল বলেই সকলে জানেন। মেয়র সাধারণ মানুষ থেকে অফিসারদের সঙ্গে মৃদু স্বরে কথা বলে থাকেন। সেখানে মানুষের কাজ হয়নি শুনে রেগে যান ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদের আরও বক্তব্য, ‘এই ধরনের ঘটনা আমাকে জানানো হলে আমি পুলিশ কমিশনারকে বলে ফোর্স নিয়ে গিয়ে নিজে ভাঙার দায়িত্ব নিতাম। যে কোনও অবৈধ নির্মাণই কলকাতা পুরসভার কাছে থাপ্পড়ের সমান। কিছু ঘটলে আমাকে নিয়ে টানাটানি হয়। আপনাদের দোষে আমাকে কলঙ্কিত করা হয়। সেটা মাথায় রাখবেন।’