খাটাল নিয়ে এক ব্যক্তি নালিশ জানিয়ে ছিলেন। কারণ কলকাতায় খাটাল রাখা আইনত ঠিক নয়। তাই গত ১০ জানুয়ারি ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে অভিযোগ জানান তিনি। কিন্তু এই অভিযোগ জানানোর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য দফতরেরই এক কর্মীর হুমকির মুখে পড়েছেন কলকাতা পুরসভার ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রণিৎ নিয়োগী। এই হুমকি পেয়ে আজ, শুক্রবার আবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে ফোন করেন রণিৎ নিয়োগী। তিনি সমস্ত ঘটনা জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। সব কথা শোনার পর স্বাস্থ্য দফতরের ওই কর্মীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপে করার হুঁশিয়ারি দিলেন মেয়র।
এদিকে খাটাল রাখা নিয়ে চাপ দিতে থাকেন ওই স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী বলে অভিযোগ। এমনকী রণিৎ নিয়োগী নামের ব্যক্তিকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই কথা জানতে পেরে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এই জিনিস কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না। অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে হয় সিএমওএইচ সাসপেন্ড করবেন, আর তা না হলে ওর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। আইনের উপরে কেউ নয়। খাটাল রাখা কলকাতায় বেআইনি। আমি নগরপালকে বলেছি খাটালগুলি তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। সেখানে যদি আমাদের স্টাফ গিয়ে দালালি করে তাহলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিশ্চয়ই আমরা পদক্ষেপ করব।’
আরও পড়ুন: আবার শৈলশহরে পর্যটকের মৃত্যু, কালিম্পং ঘুরে দার্জিলিং যেতেই অভিশপ্ত হল সফর
অন্যদিকে কলকাতা পুরসভার ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের হরিদেবপুরের ঘটনা এখন গোটা শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। খাটাল কলকাতা থেকে আগেই উঠে গিয়েছে। সেখানে যেখানে এখনও আছে তাদের তুলে দেওয়া হবে। কোনও বেআইনি কাজকেই মান্যতা দেওয়া হবে না। আইন মেনেই চলতে হবে। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ‘গায়ের জোরে কোনও বেআইনি কাজ করা যায় না। আইনের কাজকে বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হয়। আমাকে যখন সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। তখন পাড়ার লোকজন আটকানোর চেষ্টা করেছিল। আমি বললাম না, এই সমস্যার সমাধান আইনের মাধ্যমেই সম্ভব। প্রোমোটার যা করছে তাতে মনে হচ্ছে একটা সেলের মধ্যে রয়েছে। অনেক গরিব মানুষ আছেন যাঁদের বাড়ি করার ক্ষমতা নেই। তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরিব মানুষের জন্য বাংলা বাড়ি করছেন। সমস্যার সমাধান করলে আইনের মাধ্যমেই করতে হবে।’
এছাড়া এই ঘটনার কথা ওই স্বাস্থ্য কর্মীর কানে পৌঁছে গিয়েছে। এবার তিনি কোন পথে হাঁটেন সেটাই দেখার বিষয়। তবে ফিরহাদ হাকিমের কথায়, ‘খাটাল বরদাস্ত করার প্রশ্নই ওঠে না। কলকাতা পুরসভা বা স্বাস্থ্য দফতর, যে বিভাগের কর্মীই এতে মদত দিন না কেন, তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’ আর হুমকি পাওয়া নাগরিক রণিৎ নিয়োগী বলছেন, ‘বাড়ির পাশেই খাটাল। গত ১০ জানুয়ারি টক টু মেয়রে অভিযোগ করি। তার পর স্বাস্থ্য দফতর থেকে ফোন আসে। সাহায্য করার বদলে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী রণজিৎ চক্রবর্তী। এদিন টক টু মেয়রে সে কথা জানাতেই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।’