কলকাতা শহরের উন্নয়নে তিনি অনেক কাজ করেছেন। মানুষের পাশে থাকতে তাঁকে বারবার দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের মন্ত্রী তিনি। রাস্তাঘাটে মানুষ তাঁকে দেকেই থাকেন। গরিব মানুষজনের মুখে খাবার তুলে দেওয়া থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, জল, আলো এবং পরিষ্কার পরিচ্ছনতা নিয়ে আজ করেন তিনি। কিন্তু কর্তব্যেরও ঊর্ধ্বে মানবিকতা বলে মানেন তিনি। তাই তাঁর মানবিক মুখ দেখা গেল। হ্যাঁ, তিনি কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যিনি আজ, সোমবার এক দারুণ কাজ করলেন। আর তা দেখল কল্লোলিনী কলকাতা।
আজ, সোমবার এক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোরীর আর্জিতে সাড়া দিয়ে নিজে গাড়ি পাঠিয়ে তাকে কলকাতা পুরসভায় নিয়ে এলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই ঘটনা দেখে সবার চোখ স্থির হয়ে গিয়েছে। শুধু নিয়ে আসাই নয়, কথা বললেন তার ক্যানসার আক্রান্ত মায়ের সঙ্গেও। আর্থিক সংকটের কথা সেখানেই তুলে ধরেন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোরী। আর সে কথা শুনে মেয়র আশ্বাস দিলেন সমাধানের। মেয়রের সঙ্গে দেখা করে আনন্দিত ওই পরিবার। এভাবে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে তা তাঁরা ভাবতে পারেননি। মেয়রের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা আশ্বস্ত হয়েছেন। কলকাতা পুরসভার মেয়রের এই মানবিক কাজের সকলেই প্রশংসা করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘কলকাতায় ফিরেই রাজ্যপাল দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন’, বিধায়কদের শপথ নিয়ে আগাম খবর কুণালের
এই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোরী পার্কসার্কাস এলাকার এলিয়ট রোডের বাসিন্দা। নাম আজিবা খাতুন। তিনি নিজে ক্যানসার রোগে আক্রান্ত। তাঁর কিশোরী মেয়ে আফরিন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। এই পরিবারের সাংঘাতিক কষ্ট চলছে। আর্থিক, শারীরিক এবং সামাজিক। সব দিক থেকেই তাঁরা বিপর্যস্ত। এমন অবস্থায় অন্য কোনও পথ দেখতে না পাওয়ায় যোগাযোগ করেন ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে। সেই অনুষ্ঠানেই মেয়রের সঙ্গে ফোনে কথা হয় কিশোরী আফরিনের। তখন সে পরিবারের সমস্যার কথা জানায় এবং মেয়রের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করে। এই অবস্থার কথা শুনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজেই গাড়ি পাঠিয়ে নিয়ে এলেন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোরীকে।
তারপর চলল নানা কথা। ফিরহাদ হাকিমকে কাছে পেয়ে আজিবা নিজের সমস্যার কথা সম্পূর্ণ তুলে ধরেন। মা ও মেয়ে দু’জনেই অসুস্থ। এই অবস্থায় যোগ হয়েছে আর্থিক অনটন। চিকিৎসা করাতেও সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা। সব শুনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ফিরহাদ হাকিম। আর মেয়র নিজেই সাংবাদিকদের বলেন, ‘মেয়েটি ফোন করত আমাকে। বারবার বলত, আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়। কিন্তু ওরা আসতে পারবে না। আমি তখন বলেছিলাম, গাড়ি পাঠাব। আজ তাই ওদের গাড়ি পাঠিয়ে নিয়ে এলাম। সমস্যার কথা শুনলাম। যতটা সম্ভব সাহায্য করব।’