বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Hawkers in New Market: নিউমার্কেটে হকার রাজ রুখতে গড়িয়াহাটের আদলে স্টল তৈরির পরিকল্পনা পুরসভার

Hawkers in New Market: নিউমার্কেটে হকার রাজ রুখতে গড়িয়াহাটের আদলে স্টল তৈরির পরিকল্পনা পুরসভার

কলকাতার ফুটপাথে হকার। ফাইল ছবি

নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং পৌর কমিশনার বিনোদ কুমারকে চিঠি দিয়েছে। তারা অভিযোগ করেছেন, নিউ মার্কেটের হকাররা আইনের তোয়াক্কা না করে ফুটপাথ, রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছেন। শুধু তাই নয় নিউ মার্কেট বাজারের গেটও হকারদের দখলে চলে গিয়েছে।

কলকাতায় হকাররাজ রুখতে ব্যবস্থা নিয়েছে পুরসভা। ইতিমধ্যেই শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় তৈরি হয়েছে টাউন ভেন্ডিং কমিটি। কিন্তু, কলকাতা পুরসভার কাছে নিউ মার্কেটে চরম অব্যবস্থা ধরা পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সেখানে ফুটপাথ-রাস্তা দখল করে নিয়েছেন হকাররা। এই পরিস্থিতিতে গড়িয়াহাট, হাতিবাগানের আদলে নিউ মার্কেটে স্টল স্থাপন করার পরিকল্পনা করছে কলকাতা পুরসভা। শুক্রবার এমনটা জানিয়েছেন পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

ইতিমধ্যেই নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং পৌর কমিশনার বিনোদ কুমারকে চিঠি দিয়েছে। তারা অভিযোগ করেছেন, নিউ মার্কেটের হকাররা আইনের তোয়াক্কা না করে ফুটপাথ, রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছেন। শুধু তাই নয় নিউ মার্কেট বাজারের গেটও হকারদের দখলে চলে গিয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ মার্কেট চত্বরে ৩০০০ হকার থাকার কথা থাকলেও সেখানে বর্তমানে প্রায় চার হাজার হকার রয়েছে। হগ মার্কেট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনও অভিযোগ করেছে, নিউ মার্কেটে ফুটপাথে এবং রাস্তায় হাঁটার কার্যত জায়গা নেই। সবটাই হকাররা দখল করে নিয়েছে। টাউন ভেন্ডিং কমিটির নিয়ম অনুযায়ী ব্ল্যাক টপ বা পিচ রাস্তার উপর হকাররা ব্যবসা করতে পারবেন না। কিন্তু নিউমার্কেটে নিয়ম মানে হচ্ছে না বলে অভিযোগ। কার্যত প্লাস্টিকের ছাউনিতে ভরে গিয়েছে নিউ মার্কেট চত্বর। এর ফলে যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।

উল্লেখ্য, নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল পুরসভার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েকদিন আগে দেখা করেছেন। তারপরেই এই পরিকল্পনার কথা বলেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘নিউ মার্কেট এলাকার হকারদের জন্য গড়িয়াহাটের মতো টিনের ছাউনি দিয়ে স্টল করা যেতে পারে। আমি টাউন ভেন্ডিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’

তিনি আরও বলেন, নিউ মার্কেটের কিছুটা অংশে যথেচ্ছভাবে দোকান না করে গড়িয়াহাট ও হাতিবাগানের মডেলে লোহার কাঠামো ও টিনের ছাউনি দেওয়া নির্দিষ্ট মাপের দোকান করা যেতে পারে। যেখানে হকারির পরে হকাররা রাত্রে মালপত্র সরিয়ে ফেলতে পারবেন। রাস্তা ফাঁকা থাকলে আগুন লাগলে সহজেই দমকল কাজ করতে পারবে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কমবে।পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যারা নিয়ম মেনে হকারি করছে তাদের চিহ্নত করা হচ্ছে। তাদের ভেন্ডিং শংসাপত্র দেওয়া হবে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন